ডিএমপি নিউজ: বাংলা নববর্ষ সকল ধর্ম বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাঙ্গালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পহেলা বৈশাখে একাত্মতা প্রকাশ করে সকলে আনন্দে মেতেছিল সারাদিন। তবে গতকাল এই আনন্দ ক্ষণিকের জন্য কারো কারো কাছে হয়ে গিয়েছিল বিষাদময়। কারণ প্রাণের এই মেলায় এসে ভীড়ের মাঝে তারা হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের মানিক রতনকে। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের কর্তব্য-কর্ম থেকে একটুও পিছপা হয়নি। বৈশাখী উৎসবে মেতে থাকা হারিয়ে যাওয়া তিন সন্তানকে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার। গতবারের মত এবারও রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থাপন করা হয়েছিল হারানো ব্যক্তি বা বস্তু ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ডিএমপি’র ‘লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টার’ সেবা।
চার বছরের ছোট্ট ছেলে নিলয়। সবার মতো সেও বাবা-মার সাথে এসেছিল রমনার বৈশাখী উৎসবে। কিন্তু ভীড়ের মধ্যে নিলয় হারিয়ে ফেলেছিল তার বাবা-মাকে। কিন্তু হারাতে পারেনি পুলিশের চোখকে। ঠাঁই হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর রমনার লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে। সেখান থেকে পুলিশ প্রচার করলে তার বাবা শাহ আলম আসে লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে। পুলিশের সহযোগিতায় হাসি ফোটে শাহআলম ও নিলয়ের মুখে।
রমনার মগবাজারের চেয়ারম্যান গলি হতে মামার সাথে রমনা পার্কে বৈশাখী উৎসবে এসেছিল হুমায়রা মেহজাবিন। তার বয়স ৬ বছর। সেও হারিয়ে ফেলেছিল তার মামাকে। এক পুলিশ সদস্য তাকে নিয়ে যায় লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে। তারপর মাইকের মাধ্যমে তার মামা মোঃ নুরুল ইসলামকে খুঁজে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
এদিকে শ্যামপুর থেকে চৌদ্দ বছরের মোঃ আকরাম হোসেন রমনা পার্কে এসে হারিয়ে ফেলেছিল তার মামাকে। নেওয়া হয় লস্ট এন্ড ফাউন্ড সেন্টারে। পরে মাইকিং করে আকরামকে তার মামা মোঃ ইলিয়াস আরজুর কাছে ফিরিয়ে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পুলিশের এ ধরণের কাজকে অনেকে মহতী উদ্যোগ হিসেবে দেখেছেন। কেউ বা কান্নায় আপ্লুত হয়ে পড়েন। তবে বেশাখী উৎসবের পূর্বে ডিএমপি’র সচেতনতামূলক নিরাপত্তা পরামর্শ সম্মানিত নগরবাসী যথাযথভাবে মেনে চলায় বৈশাখী উৎসবে ঘুরতে আসা নাগরিকরা তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হননি।