লিওনেল মেসি তো আন্তনেলা রোকুজ্জের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়ার আগে বেশ কয়েক বছরই কাটিয়েছেন এক ছাদের নিচে। বাবা হয়েছেন দুই ছেলেরও। তাই মেসি-আন্তনেলার মধুচন্দ্রিমাটা যে একটু অন্য রকম হবে, এ আর নতুন কী!
কোলাহল থেকে দূরে, নবদম্পতির একান্তে নিজেদের মতো করে খানিকটা সময় কাটানোর কেতাবি নাম মধুচন্দ্রিমা। অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বে বিয়ে না করে একসঙ্গে বসবাসের যে রীতি তৈরি হয়েছে, তাতে খানিকটা যেন কমেই গেছে সেই রোমান্স!
মাঠে সতীর্থ, মাঠের বাইরে অন্তরঙ্গ বন্ধু। আর্জেন্টিনা আর উরুগুয়ের মধ্যে ১৯৩০-এর বিশ্বকাপের বিজেতা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও মেসি আর সুয়ারেসের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের উষ্ণতায় মোড়া। মাঠে নিজে গোল না করে মেসি পাস বাড়িয়ে দেন সুয়ারেসকে, জন্মদিনে উপহার দেন পাজামা। সপরিবারে রাতের খাবার একসঙ্গে খেতেও প্রায়ই দেখা যায় তাঁদের। আন্তনেলা আর সুয়ারেস-পত্নী সোফিয়া বালবি এখন আর শুধু সখীই নন, ব্যবসায়িক অংশীদারও। দুজনে মিলেই যে চালু করেছেন ফ্যাশনেবল জুতার দোকান। এতটাই হৃদ্যতার সম্পর্ক হলে মধুচন্দ্রিমায় চমকে দিতে বাধা কোথায়? সেটাই করেছেন সুয়ারেস।
ক্যারিবিয়ানের একটি দ্বীপে, সুনীল জলরাশি আর সাদা বালির সৈকতে, নারকেলগাছের ছায়ায় মধুচন্দ্রিমা যাপন করছিলেন মেসি-আন্তনেলা। তাঁদের চমকে দিতেই সেখানে চলে আসে সুয়ারেস পরিবার। মেয়ে দেলফিনা আর ছেলে বেনজামিনকে নিয়ে সুয়ারেস-সোফিয়াও চলে আসেন মধুচন্দ্রিমার দ্বীপে। সেখানে তাঁরা রোদ মেখেছেন গায়ে, সুনীল সাগরে মেতেছেন জলকেলিতে, সৈকতে খেলেছেন র্যাকেট আর ক্লান্তি জুড়িয়েছেন তাজা আনারসের রসে। নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই ছবিও দিয়েছেন মেসি, যেখানে নীল জলে গলা পর্যন্ত ডুবে জলকেলিতে মত্ত মেসি ও সুয়ারেস পরিবার। নিজেই লিখেছেন, ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’। সুয়ারেসের এমন চমকে মেসি কেন, আরো অনেকে নিশ্চয় সারপ্রাইজড। গোল, মিরর