মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে অনুমতি দিল কিউবার কমিউনিস্ট সরকার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কিউবার সরকারি সংবাদসংস্থার কর্মীদের এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কিউবার টেলিকম সংস্থা ইটিইসিএসএ-র তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তীকালে প্রায় ৫০ লক্ষ মোবাইল ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট প্রদান করা হবে। কিউবার জনসংখ্যার অর্ধেক নাগরিক ২০২০ সালের মধ্যে এই আওতায় পড়বে বলে দাবি টেলিকম সংস্থার।
২০১৩ সালের আগে প্রধানত হোটেল, রেস্তোরাঁয় যেখানে বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াত রয়েছে সেখানে ইন্টারনেটের সুবিধা ছিল। এরপর সাইবার ক্যাফে বা বাড়িতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করে কিউবা সরকার। গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাড়িতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, মোবাইলে থ্রিজি পরিষেবা পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ ফোরজি, ফাইভজি বা তার বেশি গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।
সাংবাদিক ইউরিস নরিদো বলেন, “এর ফলে আমাদের কাজ করার ধরণ আমূল বদলে যাবে। এখন বিশ্বের সব খবর সবার আগে থাকতে পারব আমরা।” তবে জানা যাচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা তাদের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। প্রায় পাঁচ দশক ধরে কিউবার কমিউনিস্ট সরকার তথ্য সংরক্ষণে বরাবর কড়া পদক্ষেপ করেছে। অবাধ ইন্টারেনট ব্যবহার প্রশাসনিক কাজকর্মে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে বলে মনে করত ফিদেল এবং রাউল কাস্ত্রোর সরকার। তবে রক্ষণশীল মনোভাব থেকে বেরিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিয়াজ ক্যানেল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। আর্থিক এবং বাণিজ্যিক পরিসর বৃদ্ধির জন্য অবাধ ইন্টারনেটে গুরুত্ব দিতে চাইছেন তিনি।