ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে “শুদ্ধস্বর” প্রকাশনা অফিসে প্রবেশ করে আহম্মেদ রশিদ চৌধুরী টুটুলকে হত্যা চেষ্টা মামলায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগের রমনা জোনাল টিম।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আলোচিত এ হত্যা চেষ্টা মামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জন অভিযুক্তের মধ্যে ০৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ০২ জন অভিযুক্ত পলাতক। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন অভিযুক্ত বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো- ১। মোঃ সুমন হোসেন পাটোয়ারী, ২। হাফেজ মোঃ সবুর ওরফে সামাদ ওরফে রাজু, ৩। মইনুল হাসান শামীম, ৪। মোঃ রশিদ-উন-নবী ভুইয়া টিপু, ৫। মোঃ আবু সিদ্দিক সোহেল, ৬। মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, ৭। মোঃ আরাফাত রহমান ও ৮। মোঃ শেখ আব্দুল্লাহ।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে পলাতক অভিযুক্তরা হলো- ১। মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক ওরফে ইসতিয়াক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ও ২। মোঃ মর্তুজা ফয়সাল সাব্বির।
গোয়েন্দা রমনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখ অনুমান ১৪.৪৫ টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন “শুদ্ধস্বর” প্রকাশনা অফিসে অজ্ঞাত ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী (যাদের বয়স আনুমানিক ২০ হতে ৩০) প্রবেশ করে ব্যাগ হতে পিস্তল বের করে অফিস স্টাফদের জিম্মি করে মামলার বাদী আহম্মেদ রশিদ চৌধুরী টুটুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র রামদা ও চাপাতি দিয়ে মাথায়, কপালে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। একই সাথে টুটুলের সহকর্মী তারেক ও রনদিপম বসুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তারেক রহিমের ডান পাজরে গুলি করে। উক্ত ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু হয়। ০৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি মামলাটি তদন্তকালে ৮ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। উক্ত জবানবন্দিতে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার মূলহোতা পলাতক আসামী মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক ওরফে ইসতিয়াক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই এর নাম প্রকাশ করে এবং নিজেদের জঙ্গিগোষ্ঠি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তদন্ত শেষে তদন্তে প্রাপ্ত জঙ্গিগোষ্ঠি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পলাতক আসামী মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক এবং পলাতক আসামী মোঃ মর্তুজা ফয়সাল সাব্বির সহ মোট ১০ জন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।