ডিএমপি নিউজঃ ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের ১০-১৫ দিন পর জানা গেল ঐ ম্যাজিষ্ট্রেটের পরিচয় ভুয়া এবং সে একজন প্রতারক।
গ্রেফতারকৃত প্রতারকের নাম মোঃ কাওসার আলম (৩০)। তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার ধলাহাঁস গ্রামে। বর্তমানে সে হাজারীবাগের হাজী আফসার উদ্দিন লেন এলাকায় বসবাস করত।
এ সময় তার কাছে থাকা ভুয়া ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয়ে ব্যবহৃত সীল উদ্ধার করা হয়। হাজারীবাগ থানার সিবিটি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গতকাল দিবাগত রাত এ অভিযান চালায়।
হাজারীবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, ৩১ জুলাই দিবাগত রাত হাজারীবাগ থানার সিবিটি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রাত্রিকালীন টহল ডিউটি করার সময় সংবাদ পায় যে, থানার আফসার উদ্দিন লেনের একটি বাসায় এক ব্যক্তি ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বসবাস করছে। সে আসলে ম্যাজিষ্ট্রেট না, ভুয়া পরিচয় দিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ০১.০০ টার সময় সত্যতা যাচাই করার জন্য উল্লেখিত বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে চায় পুলিশ। পুলিশের কাছে সে নিজেকে ম্যাজিষ্ট্রেট বলে পরিচয় দেয় এবং তার ব্যবহৃত একটি ভিজিটিং কার্ড দেখায়। পুলিশ ভিজিটিং কার্ডে দেখতে পায় সে ঝালকাঠি ডিসি অফিসের ম্যাজিষ্ট্রেট। নাম ও ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে পুলিশ। পুলিশ কর্তৃক যাচাইয়ে বের হয়ে আসে তার দেয়া নাম ও ঠিকানা সঠিক না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বের হয় আসল তথ্য, সে আসলে এতদিন ভুয়া ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, সে ঝালকাঠি ডিসি অফিসের ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিত। এ পরিচয় দিয়ে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে এই বাসায় বসবাস করত। এছাড়াও সে আইবিএ থেকে বিবিএ ও এমবিএ করেছে বলে জানায়। কিন্তু আমরা ভেরিফাই করে দেখেছি তার দেয়া এ তথ্যটিও ভুয়া। সে মূলত এইচ এস সি পাস। এর আগেও সে এই পরিচয় দিয়ে একটি বিয়ে করেছিল। পুলিশ ধারণা করছে পূর্বেও তার এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা থাকতে পারে।
গ্রেফতারকৃত কাওসার আলমের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় মামলা হয়েছে।