ডিএমপি নিউজঃ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম শপিং কমপ্লেক্স যমুনা ফিউচার পার্কে সকালে চুরি ও দুপুরে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে চোরাইকৃত মোবাইল বিক্রির ঘটনায় তিন চোরকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-অনিক হাসান, নাহিদ হোসেন ও নাদিম মোহাম্মদ সাগর।
রবিবার (২৪ জুলাই ২০২২) বিকালে বসুন্ধরা, ভাটারা ও কুমিল্লা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত ৫ জুলাই যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-৪ এর একটি মোবাইল শোরুম থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৭টি আইফোন, ১৪টি স্যামসাং ও ৪টি সনি ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ মোট ৫৫টি মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন দোকান মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়। এ চুরির ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করে ডিবির ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এ চক্রটিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
আভিজাত্যপূর্ণ মার্কেটে দিন-দুপুরে সংগঠিত চুরি সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃত নাহিদ হোসেন আট মাস পূর্বৈ চুরি হওয়া ওই মোবাইল শপে কর্মরত ছিলো। সে সময় নাহিদ ওই দোকানের চাবির একটি কপি তৈরি করে নিজের কাছে রাখে। পরবর্তী সময়ে সে তার পূর্ব পরিচিত অনিক হাসানকে দিয়ে ওই দোকানে চুরি করায়। আর এ চুরি করা মোবাইল প্রতিদিন দু’একটা করে অপর সহযোগী নাদিমের মাধ্যমে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে মোবাইল কিনতে আসা ক্রেতাদের নিকট কমদামে বিক্রি করে আসছিলো।
তিনি বলেন, আগে এক সময় স্টেডিয়াম মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, আন্ডারপাস মার্কেট ও সিনেমা হলের আশপাশ এলাকায় চোরাই ঘড়ি ও মোবাইল বিক্রি হতো। কিন্তু এখন যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরার মতো আভিজাত্যপূর্ণ মার্কেটেও চোরাই পথে মোবাইল এনে কেনাবেচা হচ্ছে। তিনি গ্রাহক, মার্কেট কর্তৃপক্ষ ও দোকানদারদের এটি প্রতিহত করতে অনুরোধ জানান। এ চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় প্রতিরোধে যেকোন সহায়তার আশ্বাসও প্রদান করেন তিনি। এরপরেও যদি কেউ চোরাই মোবাইল কেনা-বেচা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতাকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে খিলক্ষেত থানার কুড়াতলীর গ্রেফতারকৃত নাহিদ হোসেনের মায়ের মুদি দোকান থেকে বিভিন্ন মডেলের ২৭টি আইফোন, ১৩টি স্যামসাং ও ৫টি সনি ব্র্যান্ডের মোবাইলসহ মোট ৪৫টি মোবাইল উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়েছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম রেজাউল হকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানটি পরিচালিত হয়।