ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে) কলকাতা থেকে যাত্রা করে দুপুর ১২টায় ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ খুলনায় পৌঁছাবে। আর এরই মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ যাত্রী বহন শুরু করছে।
খুলনা স্টেশনে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বিরতির পর দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কলকাতার উদ্দেশে খুলনা ত্যাগ করবে।
জানা যায়, খুলনা স্টেশন থেকেই কলকাতায় বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রায় অংশ নেবেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এদিকে, বন্ধন এক্সপ্রেসে কলকাতা যাওয়ার জন্য প্রথম যাত্রায় খুলনা থেকে বুধবার পর্যন্ত ৩২৬টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আরো ১৩০টি টিকিট বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রার এক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশি) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ১৬ নভেম্বর যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেসের। ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠবেন।
তিনি বলেন, বন্ধন এক্সপ্রেসে ১০টি কোচ থাকবে। এর মধ্যে ইঞ্জিন ও পাওয়ারকার থাকবে দুটি। বাকি আটটি কোচে ৪৫৬টি আসনে যাত্রীর ব্যবস্থা রয়েছে। আসনগুলো সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে কেবিন ১৪৪টি ও চেয়ার ৩১২টি। এ রুটের দৈর্ঘ্য ১৭৫ কিলোমিটার। নির্ধারিত ভাড়া কেবিনে ২ হাজার টাকা আর চেয়ারে দেড় হাজার টাকা।
খুলনা স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ৯ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধন করা হয়। সেদিন যাত্রী ছিল না। বৃহস্পতিবার যাত্রী নিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করবে। ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যাত্রীরাও টিকিট কিনেছেন।
তিনি বলেন, দুই বাংলার মানুষের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’। কলকাতার সঙ্গে খুলনা অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ সহজ হবে। এর ফলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন গতিশীল হবে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার হবে। রোগীদের জন্য যাত্রাও আরামদায়ক হবে।