শুক্রবার দলপ্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার দেওয়ার পর পরই তেরেসার স্থানে কে আসছেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছেন দলের এমপিরা। এ দ্বন্দ্ব এখন অনেকটা প্রকাশ্য।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজের নতুন পরিকল্পনা তার মন্ত্রিসভায় এবং পার্লামেন্টে অনুমোদিত হবে না, এটা স্পষ্ট হবার পরই শুক্রবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন তেরেসা মে। লন্ডনে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে এক আবেগঘন বক্তৃতায় মে তার বিদায়ের কথা ঘোষণা করেন। এ সময় তার চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত তেরেসার উত্তরসূরি হতে ইচ্ছুক পাঁচজন প্রার্থীর নাম জানা গেছে। তারা হলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেরেমি হান্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এবং সাবেক কর্ম ও পেনশনবিষয়ক মন্ত্রী ইস্থার ম্যাকভি। এ ছাড়া আরও ১০ থেকে ১২ জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে প্রার্থী হিসেবে।
বিবিসি বলছে, মন্ত্রিসভা ও দলীয় আইনপ্রণেতাদের প্রবল চাপের মুখে আগামী ৭ জুন পদত্যাগ করবেন বলে শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন তেরেসা। জুলাইয়ের মধ্যেই নতুন দলপ্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে কনজারভেটিভ পার্টি। যতদিন দলীয় প্রধান নির্বাচিত না হবে ততদিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন মে।
তেরেসার পদত্যাগের সপ্তাহেই নতুন দলীয় প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে টোরি ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে একমত হয়েছেন মে।
এদিকে নিজেকে প্রার্থী হওয়ার তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থান ও পেনশনমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না এখনই আমার সময় এসেছে। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল গোভ এখনও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেননি।
যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ নাগরিকের ধারণা, বরিস জনসনই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তবে এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট বলেছেন, বিদ্রোহী জনসের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন না।