সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের বিষয়ে রাশিয়ার কাছে উপযুক্ত ব্যখ্যা দাবি করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এজন্য মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এ ঘটনায় সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। বুধবার, থেরেসা মে এক বিবৃতিতে জানান এক সপ্তাহের মধ্যে এই ২৩ রুশ কূটনীতিককে যুক্তরাজ্য ছাড়তে হবে। এই ২৩ জন ছদ্মবেশী গোয়েন্দা বলেও অভিযোগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, ঐ ঘটনার জের ধরে থেরেসা মে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এ বছরের শেষে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ আসরে যোগ না দেয়ার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারও।
তবে শুরু থেকেই সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য, অন্যায্য এবং অদূরদর্শী বলে মন্তব্য করেছে লন্ডনের রাশিয়া দূতাবাস।
গত ৪ই মার্চ যুক্তরাজ্যের সলসবারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রে বাইরে বেঞ্চিতে সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাঁদের দুজনের ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা ওই দিন দুপুরে যে রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়েছিলেন, সেই রেস্তোরাঁর টেবিলে পুলিশ নার্ভ এজেন্টের আলামত পায়। এরপর থেকেই যুক্তরাজ্য গুপ্তচর দিয়ে স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে রাশিয়া হত্যা করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে সংসদে খোলামেলা বক্তব্যও দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
সের্গেই স্ক্রিপাল একসময় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্নেল ছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ ওঠে। রাশিয়ায় তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ১০ জন মার্কিন গুপ্তচরের বিনিময়ে তিনি ছাড়া পান। ওই বছরই সের্গেই যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন।