ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ তার দেশের ‘নিরপরাধ’ জনগণের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাস’ চালানোর জন্য আমেরিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, যুদ্ধ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
তিনি নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে এ মন্তব্য করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে একজন ইরানি মা নিজের প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য কৃত্রিম পা সংগ্রহ করতে গিয়ে যে চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন তার বর্ণনা দিচ্ছেন। ওই ভগ্নহৃদয় মা বলছেন, “আমার সন্তানের এই কৃত্রিম পা আমদানি করতে দেয়া হচ্ছে না। এই পায়ের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচির কি সম্পর্ক।”
এরপর টুইটার বার্তায় জারিফ লিখেছেন, ইরানের ওপর আমেরিকার চাপিয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি আরো লিখেছেন, “এটি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসল অর্থনৈতিক যুদ্ধ। এই যুদ্ধ এবং আলোচনা- সেটা শর্তযুক্ত হোক কিংবা শর্তহীন- একসঙ্গে চলতে পারে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করার একদিন পর জারিফ ওই টুইটার বার্তা প্রকাশ করেন। পম্পেও রোববার সুইজারল্যান্ড সফরে গিয়ে বলেন, মার্কিন সরকার ইরানের সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে চায়। এর আগে অবশ্য এই পম্পেও আলোচনায় বসার জন্য ইরানকে ১২ দফা শর্ত বেধে দিয়েছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, আমেরিকার মনভোলানো কথাবার্তার কোনো মূল্য তেহরানের কাছে নেই। ওয়াশিংটনকে ইরানের ব্যাপারে আচরণে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হবে। খবর পার্স টুডে।