হাওয়াই দ্বীপে অবস্থিত জীবন্ত আগ্নেয়গিরির রহস্য প্রকাশ্যে এলো। প্রায় ১৬৮ বছরের পুরোনো এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরির রহস্য উদ্ধার করল এক নতুন গবেষণা। প্রায় তিন মিলিয়ন বছর আগে প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে অবস্থিত দুটি পাত একে অপরের থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্যই এই অঞ্চলে এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়েছে। হাওয়াই-এর এই আগ্নেয়গিরিই বিশ্বের সব থেকে বড় আগ্নেয়গিরি।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই রহস্যের সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। সেই রহস্যের সমাধানেই উঠে এসেছে এই নতুন তথ্য। ১৮৪৯ সাল থেকেই বিজ্ঞানিরা এই দুই ভলক্যানিক ট্র্যাক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এনইইউ রিসার্চ সেন্টারের একজন গবেষক ছাত্র বলেন, এই সমস্ত আবিষ্কার গুলি পৃথিবীর ইতিহাসকে পুনর্গঠন করতে। এর পাশাপাশিই অজানা বিষয়ের উপরও মানুষের কৌতুহল চিরকালিন। সেই কৌতুহল পূরণেও এই বিষয়টি অনেক সাহায্য করবে।
গবেষক জোনস আরও বলেন, এই গবেষণাটি হাওয়াই দ্বীপের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করেছে বহুলভাবে। বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ জীবন্ত আগ্নেয়গিরির স্থানটি পর্যটকদের কাছে এক প্রবল উৎসাহেরও জায়গা। প্রশান্ত মহাসাগরের সামোয়া এলাকাতেও এই ভলক্যানিকের একটি পাত রয়েছে৷ ৩ মিলিয়ন বছর আগে এই পাতগুলির মধ্যে সংঘর্ষের ফলেই এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি হয়েছে।
অন্য এক গবেষক এই প্রসঙ্গে বলেন, এই সমস্ত প্লেটগুলি প্রতিনিয়তই তার অবস্থান পরিবর্তন করে। তবে, তা অনিয়মিত ভাবেই হয়ে থাকে। আর তখনই এই আগ্নেয়গিরি থেকে শুরু হয় অগ্নুৎপাত।