‘রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদান রাখা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর উদ্দেশ্যে রোববার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন,বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রপ্তানি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেছেন, আগামীতে রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে ‘আমাদেরকে আরো উদ্ভাবনী হতে হবে’। জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকান্ডে গতি আনয়নের ক্ষেত্রে রপ্তানি খাত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বাণিজ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় রপ্তানি ট্রফির জন্য মনোনীতদের অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যানও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানি খাতের বিকাশে বিভিন্ন প্রকার সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি রপ্তানি কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। সরকার দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে বাজার ও পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি বলেন, সরকার দেশের রপ্তানি খাতের ক্রমাগত উন্নয়ন এবং ব্যবসাবাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৫-১৬ বিতরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।