আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ চালাচ্ছে ।
মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খবর বিবিসি।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক সংস্থাটি এক রিপোর্টে বলছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সেদেশের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর বলপূর্বক দেশ থেকে বহিষ্কার, হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের মত কর্মকান্ড চালিয়েছে। এর ফলে ‘অগণিত মৃত্যু’ এবং ‘গণহারে দেশত্যাগের’ ঘটনা ঘটেছে।
রিপোর্টে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত দেশটির ওপর সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, এবং বর্মী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা – যাতে আরো মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটতে না পারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আইন ও নীতিমালা বিষয়ক পরিচালক জেমস রস বলেন, “বার্মার সেনাবাহিনী নির্মমভাবে রোহিঙ্গাদের উত্তর রাখাইন প্রদেশ থেকে বের করে দিচ্ছে। গ্রামবাসীদের ওপর গণহত্যা এবং গণহারে অগ্নিসংযোগ, লোকজনকে বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া – এগুলো সবই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের গবেষণায় উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি ব্যবহারের কথা বলেছে।
অবশ্য মিয়ানমর সরকারের একজন মুখপাত্র এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বার্তাসংস্থা রয়টারকে জাও তাই বলেন, শক্ত কোন প্রমাণ ছাড়াএসব অভিযোগ বিপজ্জনক।
এর আগে জাতিসংঘ ‘রাখাইন প্রদেশে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে’ বলে যে অভিযোগ করে তা-ও অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৪ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য দ্বিগুণ করতে আহ্বান জানিয়েছে।