ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একটি টিম অস্ত্রসহ পেশাদার ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-শাওন আহম্মেদ জয়, জাহিদুল ইসলাম, ইয়ামিন, হৃদয় ও বাবুল। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি পিকআপ গাড়ি, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু, লুন্ঠনকৃত টাকা ও এগারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, (মঙ্গলবার) ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা লালবাগ জোনাল টিম।
প্রসঙ্গত, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ভোর ৪.৩০ টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে ৬/৭ জন ডাকাত একটি পিকআপ গাড়ি দিয়ে গতিরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোনসহ নগদ অর্থ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে চকবাজার মডেল থানায় মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলা গোয়েন্দা ডিবি লালবাগ বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি, ২০২১) বেলা ১১.৩০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম–বার।
তিনি বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি ডাকাতির ঘটনায় চকবাজার থানায় একটি মামলা রুজু হয়। এ মামলা তদন্তে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ একটি ডাকাত চক্রের সন্ধান পায়। কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় তারা অবস্থান করে । এ চক্রের সদস্যরা দিনের বেলায় রাজমিস্ত্রী, ডেকোরেশন ও হোটেলে কাজ করে। রাতের বেলায় তারা একত্রিত হয়ে একটি দল গঠন করে। তারা রাজধানী এবং আশপাশের এলাকা থেকে পিকআপ বা ছোট ট্রাক ছিনতাই করে। ছিনতাইকৃত যানবাহনের মাধ্যমে ভোর রাতে রাজধানীর মহখালী, এম ই এস, শাহআলী, মিরপুরের গুদারা ঘাট, শেরেবাংলানগর সহ সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ এবং ভুলতা এলাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করে থাকে।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, চকবাজার থানায় রুজুকৃত মামলার ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন ডাকাত অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে উল্লেখিত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকী অভিযুক্তসহ এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, দস্যুতাসহ অন্যান্য মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
এমন ঘটনার শিকার হলে কিংবা তথ্য পেলে পুলিশকে অবহিত করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান পুলিশের এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।