ডিএমপি নিউজ: রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ আমিনুল ইসলাম বাবু ওরফে মোঃ সুমন ইসলাম বাবু ওরফে মোঃ সাইফুল ওরফে মোঃ বাবু ওরফে মোঃ সুমন, মোঃ সজল সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন ওরফে পরশ পাঠান ওরফে মোঃ পলাশ ওরফে দীপু ওরফে মানিক ওরফে দেলোয়ার হোসেন পরশ ওরফে কালা মানিক, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ হাসান, মোঃ আমির আলী ও মোঃ লিটন মিয়া ।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ আকতারুজ্জামান ইলিয়াস ডিএমপি নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন ২০২২) দুপুর ২:৩৫টায় কতিপয় সালাম পার্টির সদস্য উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩নং সেক্টর এলাকায় অস্ত্রসহ ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আমিনুল, সজল, দেলোয়ার ও সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত হতে ১টি প্যাডেল চালিত রিকশা, ১টি চাপাতি, ৪ টুকরা নাইলন এর রশি ও ৩টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অপর এক অভিযানে ওই দিন দুপুর ১:৪০টায় ৭নং সেক্টর এলাকা হতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সালাম পার্টির সদস্য হাসান, আমির ও লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত হতে ২টি প্যাডেল চালিত রিকশা, ১টি চাপাতি, ৪ টুকরা নাইলন এর রশি ও ১টি কাটার নাইফ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সালাম পার্টির সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা শহরের উত্তরা, মিরপুর, মতিঝিল এলাকায় কৌশলে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে একজন প্রথমে ব্যাংকে অবস্থান নেয়। ব্যাংক হতে টাকা তুলে কেউ যখন রাস্তা দিয়ে বিশেষ করে রিকশা যোগে যাতায়াত করে তখন তারা রিকশার যাত্রীকে টার্গেট করে পিছু নেয়। রিকশাসহ যাত্রী কোন নির্জন রাস্তায় পৌছালে তাদের মধ্যে যে কোন একজন টার্গেটকৃত রিকশার যাত্রীর সামনে গিয়ে প্রথমে সালাম প্রদর্শন করে এবং রিকশার গতিরোধ করে। এরপর তাদের সহযোগিরা একত্রিত হয়ে রিকশার হুড উঠিয়ে দেয়। টার্গেটকৃত রিকশার যাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
গ্রেফতারকৃতরা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন সময়ে তাদের বিভিন্ন নাম, পিতার নাম, মায়ের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে থাকে। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে মর্মে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় পৃথক পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।