ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীতে অনেকে মালামাল ক্রয় করে গন্তব্যে ফেরার সময়ে পরিবহন না পেয়ে যারা বিড়ম্বনার শিকার হন তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন এক শ্রেণীর রিকশা চালক। অল্প দূরত্বের ক্ষেত্রে অনেকে মালামাল বহনের কাজে যন্ত্র চালিত যানবাহন ভাড়া না করে রিকশা ভাড়া করে। এক শ্রেণীর রিকশা চালক ভাড়ায় যাত্রীদের মালমাল বহনের সময়ে আড়ালে থাকা তার সহযোগীরা অভিনব কৌশলে যাত্রীকে ব্যাস্ত রেখে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা দিয়ে টানা মালামাল ছিনতাই পার্টি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের সর্দার আয়নাল হক, ইদ্রিস শেখ, মিন্টু ও রানা।
২৫ জুন ২০২১ (শুক্রবার) সকাল ৮: ৪৫ টায় কোতয়ালী থানার বাহারশাহ মাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন ২০২১ তারিখ এক কাপড় ব্যবসায়ী সদরঘাটের শরীফ সুপার মার্কেট হতে ৪ বস্তা রেডিমেট কাপড় কিনেন। শাঁখারী বাজার মোড় হতে রিকশাযোগে বাস স্টেশনের উদ্দেশ্যে উক্ত মালামাল নিয়ে রওয়ানা করেন। উক্ত ব্যবসায়ী রিকশার পেছনে হাঁটতে থাকেন। দুপুর ১২:৫৫ টার সময় রিকশা বাটা ক্রসিংয়ের সামনে আসলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ব্যবসায়ীর শরীরে ধাক্কা দেয়। এ সময় উক্ত ব্যক্তির হাতে থাকা চাবির গোছা মাটিতে পড়ে যায়। সেই সময় আরো দুইজন অজ্ঞাত ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের (ব্যবসায়ী) সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সুযোগে রিকশা চালক মালামাল নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ জুন ২০২১ কোতয়ালী থানায় মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সংগৃহীত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে বাহারশাহ মাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ৩ টি রিকশা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যদের একজন রিকশা চালক হিসাবে ভাড়ায় মালামাল রিকশায় তুলে গন্তব্যের যাওয়ার ভান করে রওয়ানা করে। মালের মালিক রিকশার পেছনে থাকে। রিকশা চালকের সহযোগীরা সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে তাদেরকে ফলো করে। রিকশাটি জনবসতি স্থানে গেলে এ চক্রের সদস্যরা মালের মালিককে অভিনব কৌশলে ব্যস্ত রাখে। এ সুযোগে চালক মালামাল নিয়ে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত এ চক্রের সর্দার আয়নাল হক এর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা ও ইদ্রিস শেখের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা, মিন্টুর বিরুদ্ধে ২টি মামলা এবং সঙ্গীয় রানার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় ১টি মামলা আছে মর্মে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
গ্রেফতারকৃতদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।