রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় গাছে গাছে ফোটা আমের মুকুলের নজরকারা দৃশ্য চলতি বছর এ অঞ্চলে পুষ্টিকর এই ফলটির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মুকুলে ছেয়ে যাওয়া গাছগুলো দেখে ভাবা যেতে পারে সর্বাধিক জনপ্রিয় এই ফলের এক চমৎকার ফলন হতে পারে। তবে সংগ্রহের আগ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকুলে থাকবে কি না তা নিয়েই বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। খবর বাসস
এ মতাবস্থায় অকালে মুকুল ঝরা ও অপরিপক্ক ফল পড়া নিবারণে যথাযথ টেকসই পরিচর্যার ব্যবস্থা নেয়া অত্যাবশ্যক। উদ্যানপালক ও ব্যবসায়ী প্রায়ই এ সমস্যার শিকার হন।
ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. আলিমুদ্দীন বলেন, চলমান জলবায়ু পরিস্থিতি আমের মুকুল ফুটে ওঠার জন্যে যথোপযোগী। ইতোমধ্যে অসংখ্য গাছের মুকুলিত রূপ নজর কাড়ছে।
জানুয়ারির মাঝামাঝি গাছগুলো মুকুলিত হওয়া শুরু করেছে ও চলতি মাসের মাঝামাঝি চাষের জন্য যথোপযোগী আবহাওয়ার সুবাদে শতকরা ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ গাছ মুকুলিত হয়ে উঠেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, কৃষকের যথাযথ পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রতিটি এলাকায় চাষে সাফল্য এনে দেবে।
গঠনের দিক দিয়ে উত্তম ও অধিকতর উৎপাদন লাভের জন্য কৃষকদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মৌমাছি ও অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে মুকুল রক্ষা করতে হবে।
ড. আলিম মনে করেন অকালে মুকুল ও অপরিপক্ক ফল ঝরা উদ্যানপালকদের জন্য এক ধরণের দুঃস্বপ্ন। তবে কিছু সঠিক নির্দেশনা মেনে চললে এ সমস্যা এড়ানো যায়।
এ সমস্যার সমাধানে মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ ও গবেষণা কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের একযোগে কাজ করা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকে প্রধান্য দেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, এতোদঞ্চলে ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন বয়সের ৩৫ লাখের কাছাকাছি আম গাছ রয়েছে। বিগত বছরগুলোয় ফলনশীল গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে গ্রীষ্ম মৌসুমের প্রধান অর্থকরি ফসল আম ও এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলে।
কৃষক ও গ্রামবাসীরা আম চাষে বেশি উৎসাহী হয়ে উঠছে। এটি এলাকার ঋতুর অন্যতম সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরি ফসল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আম অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলছে বলে মনে করা হচ্ছে।