একদিকে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথভাবে সামরিক মহড়া শুরু করেছে, তখনই নতুন করে জল্পনা উসকে উত্তর কোরিয়ার উপকূলবর্তী সীমানা বরাবর উড়ল রাশিয়ান বোমারু বিমান। এই ঘটনা পিয়ংইয়ংয়ের উত্তেজনাকে আরো একটু উসকে দিল বলেই মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।
প্রশ্নটা তাই উঠছে। কারণ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করা সিওল ও ওয়াশিংটনের বিরোধিতা করেছিল মস্কো। সেই বিরোধিতার কথা মাথায় রেখেই নতুন রাজনৈতিক জটিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বোমারু বিমানের আনাগোনা, জল্পনা চলছে। মস্কো সূত্রে খবর বোমারু বিমান টুপোলেভ-95 এমএস, যা ন্যাটোর কাছে পরিচিত বিয়ারস নামে, এদিন প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ চিন সমুদ্র ও জাপান সাগরের ওপর দিয়ে পাক খায়। আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে রাশিয়ার বোমারু বিমান যেদিন ঘোরাঘুরি করে, তার দিন কয়েক আগেই যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে মস্কো। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য জানাচ্ছে সেই ক্ষোভকে ইঙ্গিত হিসেবে ধরা উচিত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার। সূত্রের খবর জাপানকেও প্রচ্ছন্নে বার্তা দিতে চেয়েছে রাশিয়া। উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখতে আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক নৌ মহড়া যে ব্যর্থ, তা কার্যত বোঝাতে চেয়েছে রাশিয়া বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে উত্তর কোরিয়ার সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া শুরু করেছে। কোরীয় উপদ্বীপে চলা এই সামরিক মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ হাজার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ হাজার ৫০০ সেনা অংশ নিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দুটি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এই মহড়াকে রক্ষণাত্মক আখ্যা দিলেও, সন্তুষ্ট হয়নি রাশিয়া ।
অন্যদিকে, ক্ষুব্ধ পিয়ংইয়ংও। ১১ তিন ব্যাপী চলা এ সামরিক মহড়াকে মোটেই ভালভাবে নেয়নি। তারা এই মহড়াকে ‘বেপরোয়া’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, এই মহড়া ‘নিয়ন্ত্রণহীন এক পারমাণবিক যুদ্ধের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্বকে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে চিন এবং রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই সামরিক মহড়া বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিল।