বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আরও ছ’বছরের জন্য বিশ্বের সবথেকে বড় দেশ রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন তিনিই। ২০২৪ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। বিবিসি থেকে পাওয়া তথ্য মতে নির্বাচন শেষে পুতিন ৭৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ।
স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে ক্ষমতায় ফিরে আমেরিকার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তির ভিত আরও পোক্ত করতে চাইবেন পুতিন। ৭১ বছর বয়স পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। গত ১৮ বছর ধরে রাশিয়ায় ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি।
পুতিনের এবারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাত জন। এর মধ্যে পুতিনের সবথেকে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বামপন্থী দলের পাভেল গ্রুদিনিন ১১.২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। অর্থাৎ তিনিও পুতিনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। এছাড়া, ন্যাশনালিস্ট লিব্যারাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি ৬.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং সেনিয়া সোবচাক ২.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে।
অন্য প্রার্থীরা ছিলেন, সের্গেই বাবুরিন (অল পিপলস ইউনিয়ন) মাক্সিম সুরিয়াখিন (কমিউনিস্টস অব রাশিয়া), বোরিস তিতভ (পার্টি অব গ্রোথ) এবং গিগোরি ইয়াভলিনস্কি (ইয়াভলোকো)।
২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। আর এবার এর চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই পুতিনের জনপ্রিয়তা যে আরও বেড়েছে সেটা স্পষ্ট।
রবিবার রাশিয়ায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল, রাত ৮টা পর্যন্ত চলে ভোট। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়ায় ১১টি টাইমজোনে এই ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৯৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১০ কোটি ৯০ লক্ষ ভোটার ভোট দেয়। রাশিয়া জুড়ে ৩০ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন।
নিয়ম অনুযায়ী রাশিয়ায় একজন প্রেসিডেন্ট পর পর দু দফার বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০০০ সালে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। টানা দুই দফায় আট বছর এই দায়িত্ব পালনের পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি তিনি। ওই বছর দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং পুতিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আবারও জয়লাভ করেন পুতিন।
রাশিয়াতে অনেকেই পুতিন বাদে অন্য কোন নেতাকে কল্পনা করতে পারেন না৷ জেসফ স্ট্যালিনের পর তিনিই রাশিয়ার রাজনীতিতে দ্বিতীয় নেতা যিনি দীর্ঘ প্রায় দু’দশক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে৷