১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাইয়ের এ প্রতিযোগিতা হবে মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ, কালিনিনগ্রাদ, কাজান, নিঝনি নভগোরোদ, সামারা, ভোলগোগ্রাদ, সারানস্ক, রোস্তভ-অন-দোন, ইয়েকাতেরিনবার্গ ও সোচিতে।
অবশ্য ‘ফ্রি’তে ট্রেন ভ্রমণের জন্য অনলাইনে ভক্তকে দুটি কাজ করতে হবে- ফুটবল ম্যাচের টিকিট কিনতে হবে এবং পেতে হবে একটি ফ্যান আইডি, যেটা দিয়ে দেশটিতে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে ভক্তরা। এ জুলাইয়ে শেষ হওয়া কনফেডারেশনস কাপের অভিজ্ঞতা থেকে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ান সরকার। ওই প্রতিযোগিতাতেও চালু ছিল ফ্রি ট্রেন ভ্রমণ। যদিও ভক্তদের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। তবে সারা বিশ্ব থেকে আসা ভক্তদের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল এ পদক্ষেপ।
২০১৮ বিশ্বকাপের ট্রান্সপোর্টেশন ডিরেক্টরেট প্রধান তেরেন্তি মেচেরিকোভ বলেছেন, ‘আমরা এক ঢিলে দুই পাখি মারলাম। দুটি বিষয় মাথায় ছিল- রাশিয়ায় আসা হাজার হাজার ভক্তদের কীভাবে থাকতে দেওয়া যায় এবং আয়োজক শহরগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা কতটা সহজ করা যায়।
এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা দুটি সমস্যার সমাধান করেছি। আমাদের বেশিরভাগ ট্রেন রাতে যাত্রা শুরু করে এবং সকালে পৌঁছায়। তাই ভক্তরা ঘুমিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবে।’
বিশ্বকাপ আয়োজক হওয়ার দৌড়ে জয়ী হতে এ সিদ্ধান্ত সবচেয়ে সহায়ক ছিল মনে করেন এ কর্মকর্তা। প্রশ্ন থেকে যায়- এ ইভেন্টে টিকিট ছাড়া যাতায়াতে বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে রাশিয়ান রেলওয়ে কোম্পানিগুলো, তাদের প্রতিক্রিয়া কী? মেচেরিকোভ জানালেন, সরকার এ ব্যাপারটা দেখছে। তাদের প্রত্যেক পয়সার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সরকারি খাত থেকে। বাংলাট্রিবিউন