সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ মর্গে নেয়া হবে। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নেয়া হবে মরদেহ। সেখানে জানাজা শেষে দুপুর ১২টার ঢাকায় আনা এবং বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মিজারুল কায়েসের দুলাভাই মোকাররম হোসেন পিন্টু বলেন, রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়। মিজারুল কায়েসের মরদেহের সঙ্গে দুই মেয়ে ও স্ত্রী ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ ব্রাজিলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিজারুল কায়েস। ২০১৪ সাল থেকে ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর আগে তিনি রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালদ্বীপে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা মিজারুল কায়েস ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাদার এ কূটনীতিক জেনেভা, টোকিও এবং সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ মিশনের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সার্ক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অর্থনৈতিক বিষয়াবলী, আনক্লস ও বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্বও পালন করেছেন।