প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যকর উদ্যোগ করেছে সরকার । পরিবেশ ও মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে পারমাণবিক এবং রেডিওলজিক্যাল নিরাপত্তার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে।
আজ সকাল ১১টায় দেশের বহুল প্রতীক্ষিত প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুরের মূল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে পারমাণবিক নিরাপত্তার উপর আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’র (আইএইএ) গাইডলাইন অক্ষরে-অক্ষরে অনুসরণ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পারমাণবিক শক্তির নিরাপদ এবং সুরক্ষিত প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং দেশের সর্বপ্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দেশের জাতীয় পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য আমরা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছি।’
এছাড়া, ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নামে একটি স্বাধীন পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আফম রুহুল হক, রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লেখাচভ এবং আইএইএ-র পরিচালক দোহি হ্যান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের যোগান দেবে। রোসাটাম নিযুক্ত রাশিয়ার অ্যাটমস্ট্রোস্পোর্ট-এর ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্প নির্মাণ করবে।
২৬২ একর জমির উপর নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের দুই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে ২ হাজার ৪শ’মেগাওয়াট। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।