রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এনপিপি) অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পই শুধু নয়; এটি রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের প্রতীক। এই প্রকল্পে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধাবী প্রকৌশলীদের কাজের সুযোগ হবে। নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া প্রকৌশলীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের বিষয়ে ভাবতে হবে না।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন-রসাটম এর দক্ষিণ এশিয়ার প্রেস সেক্রেটারি আলেক্সান্দার এন্টিপিন। নিউক্লিয়ার সাইন্স, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ও নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিষয়ে রাশিয়া ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়ার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দিমিত্রভগ্রাদ ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের রেডিও কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান রতিসøাভ কুজনেৎসভ, রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট সারাবুরা তাতিয়ানা এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সাংবাদিক ইলিয়া কাবানভ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান- ড. শফিকুল ইসলাম ভূঞা, অপর সাবেক চেয়ারম্যান রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট সারাবুরা তাতিয়ানা মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র (এমআইএসটি) নিউক্লিয়ার সাইন্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন কর্ণেল আবু জাফর মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট সারাবুরা তাতিয়ানা নিউক্লিয়ার মেডিসিন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে নিউক্লিয়ার মেডিসিন রাশিয়া-সহ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। থাইরয়েড, ক্যানসার, টিউমার চিকিৎসায় এই পদ্ধতি অত্যন্ত উপযুক্ত। বিশেষ করে প্যাট ও বিএনসিটি রাশিয়ায় চলছে। বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের সরকারি অনেক হাসপাতালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগ রয়েছে। সম্প্রতি প্যাটও চালু হয়েছে। তবে ব্যয়বহুল হওয়ায় বিএনএসটি শুরু হয়নি।
এ সময় প্রকৌ. এম জুলকারনাইন রুশ বিশেষজ্ঞদের জানান, বাংলাদেশ অনেক আগেই নিউক্লিয়ার নিয়ে কাজ শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার স্বপ্ন ও উদ্যোগের ফলেই পরবর্তিতে সাভারে একটি পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হয়। সেখানে নিউক্লিয়ার সাইন্স্ এন্ড টেকনোলজি, খাদ্য ও বিকীরণ জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউট, তেজস্ক্রিয় খনিজ ইউনিট-সহ বিভিন্ন খাতের পারমাণবিক গবেষণা সেলের মাধ্যমে গবেষণা পরিচালনা করা হয়।