হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখার আনন্দ পাকিস্তানের। পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ২৬ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ জয় ছিল না। কিন্তু তারা এবার সেই পথে ছিল।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতে ৪ উইকেটে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ ৭৪ রানে জিতে সিরিজ সমতায় ফেরায় পাকিস্তান। এতে গায়ানার শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারনী। এই ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে ৬ উইকেটে জিতে ২৬ বছরের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রেখেছে পাকিস্তান। টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে ৯ উইকেটে মাত্র ২৩৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৪৩.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
স্কোরকার্ড দেখলে হয়তো পাকিস্তানের জয়কে সহজ মনে হবে। কিন্তু মামুলি এ টার্গেট সামনে নিয়ে শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে তারা। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ইনিংসের প্রথম বলে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। এরপর দলীয় ১৬ রানে আহমেদ শেহজাদ ফেরেন (৩)। ফর্মের তুঙ্গে থাকা বাবর আজম ১৬ রানে ফিরলে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৬ রান। শুরুতে এমন বিপদে পড়লেও মঁচকে যায়নি পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটে দারুণ লড়াই করেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। ২১.১ ওভারে তারা যোগ করেন ১১৩ রান। ২ ছক্কা ও ৮ চারে হাফিজ ৮৬ বলে ৮১ রানে ফেরেন। তবে শোয়েব মালিক দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তিনি ১১১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২ ছক্কা ও ১০ চার হাঁকান তিনি। হাফিজ ফেরার পর পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে ৮৭ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন মালিক। সরফরাজ ২৬ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ৬৮ রানে তিন উইকেটে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এভিন লুইস ১৬, চ্যাডউইক ওয়ালটন ১৯ ও পাওয়েল ২৩ রানে ফেরেন। তবে চতুর্থ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। জেসন মোহাম্মদ ও শাই হোপ যাগ করেন ১০১ রান। মোহাম্মদ ৫৯ রানে ফেরার পর হোপ করেন ৭১ রান। তারা দু’জন বড় ইনিংস খেললেও লেজের ব্যাটসম্যানরা তেমন শক্তি দেখাতে পারেনি। এতে অল্প রানেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।