টাইগারদের থাবায় লন্ডভন্ড উইন্ডিজ। ৩২১ রানের পাহাড় গড়েও ম্যাশ বাহিনীর কাছে পাত্তা পেল না হোল্ডার বাহিনী। সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি ও লিটন কুমার দাসের ফিফটির সঙ্গে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের যোগ্য দুইটি ইনিংসে সহজ জয়ই পেয়েছে টাইগাররা। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১ বল হাতে রেখেই টার্গেট টপকে ফেলেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এতদিন সর্বোচ্চ ৩২২ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এসেছিল সে জয়। আজ তারা ছাড়িয়ে গেল সে ম্যাচকে। নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩২১ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড করলো টাইগাররা।
এ ম্যাচ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে সাকিব আল হাসান। বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও খেলেছেন ১২৪ রানের অনবদ্য ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে লিটন অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে।
লক্ষ্য ৩২২ রানের। শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। ক্যারিবীয় বোলারদের দেখেশুনে খেলছিলেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর তামিম ইকবাল। বিশেষ করে সৌম্য তার সহজাত মারকুটে ব্যাটিংটাই করছিলেন। ২৩ বলে ২টি করে চার ছক্কায় সৌম্য ২৯ রান করে আউট হন। এরপর ঝড়ো এক জুটি গড়েন তামিম আর সাকিব আল হাসান। সৌম্য আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ বলেই জুটিতে হাফসেঞ্চুরি পার করেন এই যুগল। ৫৫ বলেই গড়ে ফেলেন ৬৯ রানের জুটি। ৪৮ রানে এসে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হন তামিম।
তারপর মুশফিকুর রহীমও বেশিদূর যেতে পারেননি। ওসানে থমাসের বলে মাত্র ১ রান করে উইকেটরক্ষক শাই হোপের ক্যাচ হয়েছেন মিডল অর্ডারের এই ভরসা। তবে চতুর্থ উইকেটে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস। ক্যারিবীয় বোলারদের তুলোধুনো করে দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে, গড়েন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ১৮৯ রানের জুটি।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব আল হাসান, উঠে যান চলতি বিশ্বকাপের রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার শীর্ষে।
এর আগে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পাহাড়সমান পুঁজি দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।