ইইউ নিয়ন্ত্রকরা বলছে, নিজেদের কম্প্যারিজন-শপিং সার্ভিসের স্বার্থে সার্চ রেজাল্ট কারসাজি করায় গুগলকে ইউরোপে এই জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এ ধরনের অভিযোগে ইতিপূর্বে কোনো কোম্পানিকে এত বিশাল অংকের জরিমানা করা হয়নি।
গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ইন্টারনেটে কোনো কিছু অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে- অর্থাৎ ‘সার্চ ইঞ্জিন’ হিসেবে- গুগলের যে প্রাধান্য, তার সুযোগ নিচ্ছে তারা। বলা হয়, লোকে ইন্টারনেটে কোনো জিনিস কিনতে গেলেই ‘গুগল শপিং’ নামের একটি সার্ভিস তাদের নিজেদের পছন্দমতো তৈরি করা তালিকাকে সবার আগে ক্রেতার সামনে তুলে ধরছে। কিন্তু কৌশলে এটা করে যাচ্ছিল গুগল? এ জন্য তারা ব্যবহার করছে গুগল শপিং নামে একটি সেবা। আপনি ইন্টারনেটে যেকোনো পণ্য খুঁজলেই সে সব জিনিসের ছবি, দাম, কোন দোকানে তা পাওয়া যায়, ক্রেতারা কোনটাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন তার তুলনামূলক স্কোর- এসব আপনার সামনে তুলে ধরে গুগল শপিং।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিযোগী কমিশনার মার্গারেট ওয়েস্টগার জানিয়েছেন, গুগল যা করেছে তা ইইউ অ্যান্টিট্রাস্টের নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ। শপিং সার্চ রেজাল্টে কারসাজি ও নিজেদের পণ্য সার্চ রেজাল্টের ওপরের দিকে অনৈতিকভাবে প্রদর্শন করার তাদের এ রেকর্ড পরিমাণ জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে। ইইউ আরো জানায় গুগলকে ৯০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ প্রদান করতে হবে। না করলে জরিমানা আরো বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে গুগল কিছু না বললেও মার্কিন একটি ফার্ম জানিয়েছে গুগল চাইলে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।
গত বছর রাশিয়ায় প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ট্যাবলেট অ্যান্ড সেলফোন অ্যান্টিট্রাস্ট নীতিমালা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ৬৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানার শিকার হয়। রাশিয়ার স্থানীয় একটি সার্চ ইঞ্জিন ইয়ানডেক্স এনভির করা অভিযোগের ভিত্তিতে গুগলকে এই জরিমানা করা হয়।
ইউরোপীয় কমিশন গত বছরের এপ্রিলে গুগলকে একটি আনুষ্ঠানিক অ্যান্টিট্রাস্ট অভিযোগ পাঠিয়েছিল। ওই অভিযোগে বলা হয়, ট্যাবলেট ও হ্যান্ডসেট নির্মাতাদের ডিভাইসে জোরপূর্বক নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ওয়েব ব্রাউজার ইনস্টলে বাধ্য করে গুগল।