যাত্রীসেবার মান বাড়াতে এবং রেলওয়েকে আধুনিক মানের করতে দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চালুর প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে এ ট্রেন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা-চট্টগ্রামে চলবে। এ ছাড়া কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বুধবার দুপুরে পঞ্চগড়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে মহাপরিকল্পনায় দেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গেও রেলওয়ের যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা এবং চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি এবং কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, একটি অপশক্তি একসময় বাংলাদেশের কৃষি খাত এবং রেলওয়েকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ১৯৯১ সালে প্রায় ১০ হাজার রেল কর্মচারীকে সেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বর্তমান সরকার এই রেলওয়ে খাতে উন্নয়নের জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। উন্নত দেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ভিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। সে ভিশন বাস্তবায়নে সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে সবাইকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের আঞ্চলিক ম্যানেজার (ডিআরএম) মিজানুর রহমান, পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দীন আহমদ, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউস সুন্নাহ, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম, বোদা পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে রেলমন্ত্রী পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২২৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা ও সংস্কৃতি ট্রাস্টের প্রায় ৮ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করেন।