ডিএমপি নিউজ: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ভর করে ভিটামিন এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর উপর। প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় নিচের পুষ্টি উপাদানগুলো রাখা যেতে পারে-
১. দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবারগুলো বিজ্ঞানের ভাষায় প্রোবায়েটিকস হিসেবে পরিচিত। যেমন- দই, ঘোল, ছানা ইত্যাদি।
২. সেলেনিয়াম: সামুদ্রিক খাবার, মাশরুম, বার্লি, গরুর দুধ, ডিম, সূর্যমুখীর বীজ, টিসির বীজ, আখরোট, বাঁধাকপি, পালংশাক, ব্রোকলি, রসুন সেলেনিয়ামের ভালো উৎস।
৩. আয়রন: এটি আমাদের দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে। মাংস, পালংশাক এবং সবুজ শাকসবজি, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, শুকনা ফল।
৪. কপার: এটি আয়রনের সঙ্গে শ্বেত রক্তকণিকা গঠনে কাজ করে। শস্যজাতীয় খাবার, বিভিন্ন সবজির বিচি, বাদাম, সবুজ শাকসবজি মাংস কপারের ভালো উৎস।
৫. ফলিক অ্যাসিড: ডিএনএ এবং আরএনএ গঠনে সহায়তা করে। উৎস- সবুজ শাকসবজি, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, শস্যজাতীয় খাবার ও ডিম।
৬. ভিটামিন এ: রোগপ্রতিরোধ এবং প্রদাহ প্রতিরোধী সিস্টেমে উন্নতি সহায়তা করে। মিষ্টি আলু, লাল রঙের ফুল এবং সবজি, সবুজ শাকসবজি, পাকা পেঁপে।
৭. ভিটামিন সি: এটি ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি রেডিকেল থেকে সুরক্ষা করে। টক জাতীয় ফল, পেঁপে, স্ট্রবেরি আনারস ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।
৮. ভিটামিন ই: সূর্যমুখীর বীজ, কাজু বাদাম, বাদাম, পালংশাক প্রভৃতি ভালো উৎস।
৯. মসলা: হলুদ, গোল মরিচ এবং তুলসী এই আয়ুর্বেদিক উপাদানগুলো রোগপ্রতিরোধে ব্যবহার হয়ে আসছে।
১০. জিংক: এই পুষ্টি উপাদান এনজাইমের কাজ করে যা ডিএনএ গঠন করে। যেসব খাবার থেকে জিংক পাবেন- টক দই, মাংস, মাছ, বাদাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ, মাশরুম এবং মসুরের ডাল।