চলছে সিয়াম সাধনার মাস। তারপর গরমের বিড়ম্বনা তো রয়েছেই। ফলে ছোটখাট ভুলে অসুস্থ হয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। এসময় কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনার শরীর থাকবে চাঙা। সহজে কোনো রোগ আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। সুস্থ থেকে রোজা রাখার জন্য মনে রাখতে হবে কিছু বিষয়। আসুন জেনে নেই-
♦ প্রতিদিন লেবুর শরবত ও ফলের রস পান করুন সুস্থ থাকার জন্য। ইফতারের শুরুতেই বেশি পানি পান করে ফেলবেন না।
♦ ইফতারের পর যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করুন। সহজে পানি পান করতে একটি বোতলে পানি ভরে রাখতে পারেন এবং কিছুক্ষণ পরপর তা পান করতে পারেন।
♦ রমজানে ইফতারের সময় অনেকেরই ভাজা-পোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এসব খাবারে থাকে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম, যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এজন্য এসব খাবার এড়িয়ে বরং ফল-মূল ও পেট ঠাণ্ডা রাখবে এমন খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে অল্প পরিমাণ খেজুর, বাদাম ও শুকনো ফল রাখতে পারেন। যা সারাদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদানের পাশাপাশি শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
♦ অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন সারাদিন না খেয়ে থাকার বিষয়টা একইসঙ্গে পুষিয়ে নিতে হবে। আর এ কারণে তারা রাতের বেলায় অতিরিক্ত খাবার খান। কিন্তু কাজটি ভুল। একবারে অতিরিক্ত না খেয়ে একটু পর পর পরিমিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
♦ তাড়াহুড়ায় খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেতে ভুলবেন না।
♦ আর সেহরির সময় কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিন। এতে দিনে না খেয়ে থাকার ফলে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরানোর মতো যে সমস্যা দেখা দেয় তা এড়ানো যাবে।
♦ রোজা রেখেছেন বলে ব্যায়াম বাদ দেয়া যাবে না। বরং প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট করে হলেও ব্যায়াম করুন। তাহলে আর রোগ বালাই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
♦ সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার তৃষ্ণা বাড়ায়। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কলা খেতে পারেন। কলায় থাকা পটাসিয়াম তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করে।
♦ ইফতারের পর পরই জিমনেশিয়ামে যাওয়া উচিত নয়। অন্তত ২ ঘণ্টা পর তারপর ব্যায়াম করুন।