পর্তুগালের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়শিপ জয়। টুর্নামেন্টের ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের (১০৯ মিনিটে) গোল করে পর্তুগিজদের সোনালি সাফল্যে উদ্ভাসিত করে তোলেন এডার। অথচ মাত্র দুই বছরের মাথায় সেই স্ট্রাইকার চলে গেলেন বাতিলের খাতায়। শুধু এডার নয় দলে সুযোগ পাননি অধিকাংশ ইউরোজয়ী সদস্য।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে অধিনায়ক করে রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। দলে জায়গা পেয়েছেন স্পোর্টিং তারকা উইলিয়াম কারভালহো ও মোনাকো মিডফিল্ডার জোয়াও মৌতিনহো। দলে আছেন বেসিকতাসের দুই তারকা পেপে ও রিকার্দো কোয়ারেশমা। এই দলে সুযোগ পেয়েছেন মিডিফিল্ডার জোয়াও মারিও।ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অধিনায়ক করে বৃহস্পতিবার ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। তার আগে ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছিল তারা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লুইস ফিগোর পর পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন নানি। তাকে রাখা হয়নি স্কোয়াডে। তিনি অবশ্য গেল বছরের কনফেডারেশনস কাপের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে আর খেলেননি। ২৩ সদস্যের স্কোয়াডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে চারজন খেলোয়াড় রাখা হয়েছে। তারা হলেন ম্যানসিটির ফরোয়ার্ড বার্নার্ডো সিলভা, লেস্টারসিটির মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন সিলভা, সাউদাম্পটনের রাইট ব্যাক সেডরিক সোয়ারেস এবং ওয়েস্টহ্যামের মিডফিল্ডার জোয়াও মারিও।
বিশ্বকাপে পর্তুগাল রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্পেন, মরোস্কো ও ইরান। ১৬ জুন স্পেনের বিপক্ষে পর্তুগাল তাদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে। ২০ জুন মরোক্কোর বিপক্ষে খেলবে রোনালদোরা। আর ২৬ জুন শেষ ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিপক্ষ ইরান।
পর্তুগালের চূড়ান্ত স্কোয়াড
কোচ : ফার্নান্দো সান্তোস
গোলরক্ষক : অ্যান্থোনি লোপেজ, বেতো, রুই প্যাট্রিসিয়া।
ডিফেন্ডার : ব্রুনে আলভেজ, কেডরিক, হোসে ফন্তে, মারিও রুই, পেপে, রাফায়েল গুয়েরেইরো, রিকার্ডো পেরেইরা, রুবেন ডিয়াজ।
মিডফিল্ডার : অ্যাদ্রিয়েন সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, হোয়াও মারিও, জোয়াও মুতিনহো, ম্যানুয়েল ফার্নান্দেজ, উইলিয়াম কার্ভালহো।
ফরোয়ার্ড : আন্দ্রে সিলভা, বার্নার্ডো সিলভা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, জেলসন মার্টিন্স, গনক্যালো গুয়েদেস, রিকার্ডো কারেসমা।