পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদের সি আর সেভেন নামেই পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী এবং অর্থবিত্তের অধিকারী অ্যাথলেট বলা যায় তাকে। সেই রোনালদোর শুধু যে নিজেকে নিয়ে ভাবেন তা কিন্তু নয়। শিশুদের সাহায্যে অনেক সেবা ও দাতব্যমূলক কাজ করেছেন তিনি।
যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্যও তার দু’হাত প্রসারিত হয়েছে। এবার রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য হৃদয় কাঁদছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ক্রীড়াবিদের। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য সাহায্যের আকুল আর্তি ফুটে উঠেছে রোনালদোর কণ্ঠে।
পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি সম্ভবত এখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং রাখাইনদের বর্বর-নিষ্ঠুর নির্যাতনের মুখে সহায়-সম্পদ সব হারিয়ে লাখে লাখে রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। নাফ নদী পাড়ি দিয়ে প্রায় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। যাদের অধিকাংশেই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।
বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উঠে আসছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার শিশু রয়েছে যাদের স্বজন বলতে পৃথিবীতে আর কেউ নেই। বাবা-মা সবাইকে হারিয়েছে তারা। টেকনাফের উদ্বাস্তু শিবিরে এসব শিশু চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিন পার করছে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে সাহায্য পৌঁছালেও শিশুদের জন্য তা অপ্রতুল।
শিশুদের কথা চিন্তা করেই অন্তর কেঁদেছে রোনালদোর। তার নিজেরও তো চারটি শিশু সন্তান রয়েছে। বড়জন ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র স্কুলে যায়। বাকি তিনজনের বয়স এখনও এক বছর পার হয়নি। একটি সন্তান এসেছে সারোগেট পদ্ধতিতে। অন্য দু’জন জমজ, জন্ম দিয়েছে রোনালদোর বর্তমান বান্ধবী জিওর্জিনা রদ্রিগেজ।
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ প্রতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ভ্যারিফায়েড পেজে পোস্ট করেছেন রোনালদো। সেখানে তিনি ব্যবহার করেছেন কয়েকটি ইমোজি। প্রথমিতে লিখেছেন ওয়ান, এরপর পৃথিবীর ইমোজি। অর্থাৎ, একটাই পৃথিবী। এরপর মাঝে লাভ (ভালোবাসার) ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘যেখানে আমরা আমাদের সন্তানদের ভালোবাসি। দয়া করে সাহায্য করুন #রোহিঙ্গা, #রিফিউজি সেভ দ্য চিল্ড্রেন।’