রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে জাতিসংঘ ঘোষণা দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এই অনুদানের পরিমাণের কথা জানালো।
শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম যৌথ বৈঠকের (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান) পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তাদের অনুদানের ঘোষণা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা দেবে। যাতে বাংলাদেশসহ এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সুবিধা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানায়, এ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের অর্ধেকের বেশি দরকার হবে খাদ্য, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও আশ্রয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য ও সেবায়। তহবিল আবেদনে আরও রয়েছে- স্বাস্থ্য, এলাকা ব্যবস্থাপনা, শিশুসহ অন্যদের রক্ষা, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধ, শিক্ষা ও পুষ্টি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের একাত্মতা ও মানবিক সাহায্যকারীদের অঙ্গীকার ২০১৮ সালে প্রথম জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব করেছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আমরা এসব জনগোষ্ঠীর ভীষণ প্রয়োজনগুলো পূরণে আমাদের প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করছি এবং এ প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় এনজিও এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থাসহ মোট ১৩২ অংশীদারকে সাথে নিয়ে এ যৌথ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। যার লক্ষ্য হলো উদ্বাস্তু নারী, পুরুষ ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দেয়া ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি করা।
২০১৮ সালের জেআরপি তহবিলে চাহিদা ছিল ৯৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিপরীতে পাওয়া যায় ৬৯ শতাংশ বা ৬৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।