বাংলাদেশে আসা মায়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নবজাতক ও ৫ বছরের কম শিশুদেরকে ভেকসিন, পোলিও টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম সংবাদিকদেরকে বলছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে রোহিঙ্গা শরণাথীদের জরুরি চিকিৎসা দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রতিটি ক্যাম্প ছাড়াও দূর্গম অঞ্চলে গিয়ে খুজে খুজে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। ৫ বছরের শিশুদেরকে হামের জন্য ভেকসিন ও পোলিও এর জন্য টিকা দেয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। কোন বাচ্চাকে বাদ দেয়া হচ্ছে না। ১২ হাজারেরও বেশী শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপ্সুলসহ অন্যান্য ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। ৭৮ জন নবজাতকের ডেলিভারি করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েক জনের সিজার হয়েছে। প্রতিদিন চিকিৎসা প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
সূত্র জানায়, শরণার্থী ক্যাম্পে রেজিস্ট্রার্ড ছাড়াও নতুন করে আসা হাজার হাজার শরণার্থীর মধ্যে অনেকেরই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া,পেটের পিড়া ও জ্বর হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে কেউ গভীর জঙ্গলে আবার কেউ রাস্তার পাশ্বে অবস্থান নিয়েছে।
যে যেখানে আছে মেডিক্যাল টিম, রেড ক্রিসেণ্টসহ অন্যান্য সংস্থা গুলো শরণার্থীদের সেবায় সেখানে গিয়ে কাজ করছেন।
চিকিৎসকরা জানান, সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশী রোহিঙ্গাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন মেডিক্যাল টিমের বিশেষজ্ঞরা তাদের ক্যাম্প ও দূর্গম অঞ্চলে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও তাদের শারিরীক অবস্থান জেনে তাৎক্ষণিক ওষুধের ব্যবস্থা করছেন। সেখানে হেলর্থ কমপ্লেক্্র সেণ্টারে গিয়ে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র মতে, গুলিবিদ্ধ ও হামলার শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার কোন সমস্যা হচ্ছে বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে মহাখালী রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক জানান, তাদের টিম সেখানে আছে। তারা সর্বক্ষণ খোজ খবর রাখছেন।