রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ ভূমিকা পালন করবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে চীনের স্ট্যাট কাউন্সিলর ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী ঝাও কেজি।
গতকাল (২৫ অক্টোবর, ২০১৮) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আশ্বাস দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, চীনের মন্ত্রী সাইবার অপরাধ মোকাবেলায়ও বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
প্রেস সচিব চীনের মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কারিগরি সহায়তা প্রদান করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
ঝাও কেজি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত নিতে সেদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। চীনের উদ্যোগ এ সংকট সমাধানে সহায়ক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা চীনের মন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কথা অনুযায়ী কাছ করছে না।
ঝাও কেজি দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, পুলিশের মহা-পরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারি, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং নিরাপত্তা সার্ভিস বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।