শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডিকভেলা ও গুনাতিলাকা টানা দুই ম্যাচে দুইশতাধিক রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ইতিহাস গড়েছেন। ওয়ানডেতে এই প্রথম টানা দুটি ম্যাচে ২০০ বা তার চেয়ে বেশি রানের উদ্বোধনী জুটি হয়েছে। এর আগে তৃতীয় ওয়ানডেতে ২২৯ রান যোগ করেছিলেন তাঁরা। শনিবার ফের ২০৯ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু জয়ের স্বাদ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মূলত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার ৩০১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ২১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর যখন খেলা শুরু হয়, তখন জিম্বাবুয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৩১ ওভারে ২১৯ রান। অর্থাৎ পরের ১১ ওভার থেকে তাদের দরকার ছিল ৮০। জিম্বাবুইয়ানরা ১০ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটে জিতে যায়। এই জয়ে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ২-২ সমতা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন অঘোষিত ফাইনাল।
দারুণ ব্যাটিং করেছেন জিম্বাবুয়ের তারকা ব্যাটসম্যান শন আরভিন। ৫৫ বলে খেলেছেন ৬৯ রানের হার না মানা ইনিংস। এছাড়া জিম্বাবুয়ের ইনিংসে আর কোনো হাফ সেঞ্চুরিও নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছিল ওপেনার মুরের ব্যাট থেকে। ৩০ রান করেছিলেন মুসাকান্দা। ২৮ রান এসেছে মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। কাল জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের মিলিত সংগ্রহই দলকে নিয়ে গেছে জয়ের বন্দরে।
বিজীয় দলের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার বলেন, ‘বৃষ্টির সময় জানতাম, ম্যাচে আমরাই এগিয়ে আছি। তারপর তো জিতেই গেলাম। আর অসাধারণ ব্যাটিং করেছি। সিরিজটা জিততেই হবে এমন কোনো চাপ নেই। তাই আমরা চাপ মুক্ত থেকেই ভালো খেলতে চাই। ’
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস বলেন, ‘৩০০ বড় স্কোরই। কিন্তু জিম্বাবুয়ে অসাধারণ খেলেছে। সিরিজটা বেশ জমে উঠেছে। তবে জিততে হলে শেষ ম্যাচে আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৩০০/৬ (৫০ ওভার) (ডিকওয়েলা ১১৬, গুনাথিলাকা ৮৭, ম্যাথুস ৪২; এমপোফু ২/৬১, ওয়ালার ২/৪৪, চাটারা ১/৩২)
জিম্বাবুয়ে : ২১৯/৬ (২৯.২ ওভার) (আরভিন ৬৯, মাইর ৪৩, মুসাকান্দা ৩০; ডি সিলভা ৩/৪০, চামিরা ১/৩২, গুনারত্নে ১/৪১)।
ফল : জিম্বাবুয়ে ডি/এল পদ্ধতিতে ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : আরভিন।