পবিত্র রমজান মাসের শ্রেষ্ঠ উপহার লাইলাতুলকদর।আর মুমিন মুসলমানের জীবনে একান্ত চাওয়া-পাওয়ার একটি হলো লাইলাতুল কদর লাভ করা। আল্লাহ তাআলা এ রাতের মর্যাদা বর্ণনায় আলাদা একটি সুরা নাজিল করেছেন।
এরাতের ফজিলত বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সম্মানিত রজনী বা লাইলাতুল ক্বদর’ হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’
তাই যে রোজাদার লাইলাতুল কদর পাবে এবং রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে রাত অতি বাহিত করবে; ওই ব্যক্তি আল্লাহর দরবারে অনেক মর্যাদাবান ও সৌভাগ্যবান।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতদের উদ্দেশে এ রাতের ফজিলত ও মর্যাদা লাভের জন্য সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনিবলেছেন-হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করবে। (বুখারি, মিশকাত)।
অন্য হাদিসে এসেছে-হজরত আবুবকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা তাকে অর্থাৎ লাইলাতুল কদরকে রমজানের ৯ রাত বাকি থাকতে, অথবা ৭ রাত বাকি থাকতে, অথবা ৫ রাত বাকি থাকতে, অথবা ৩ রাত বাকি থাকতে, অথবা রমজানের শেষ রাতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯ রমজান) তালাশ করবে। (তিরমিজি, মিশকাত)
পবিত্র রমজানের শেষ দশকে মুমিন মুসলমানের চাওয়া-পাওয়ার শ্রেষ্ঠ রাত ‘লাইলাতুল কদর’ তালাশে এছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুস্পষ্ট ঘোষণা।
সুতরাং অবহেলা না করে, রমজানের বাকি দিনগুলোতে রাত জেগে লাইলাতুল কদর লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগিতে নিজেদেরকে নিয়োজিত করা মুসলিম উম্মাহর একান্ত কর্তব্য।
আল্লাহতাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে এ রাতের ফজিলত লাভে নিজেদেরকে ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত করে তাকওয়া ও পরহেজগারি অর্জন করার তাওফিক দানকরুন।আমিন।