চীনের গণতন্ত্রপন্থি মানবাধিকারকর্মী লিও জিয়াবো মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অধ্যাপকের বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে না দেওয়ায়, তার মৃত্যুর পর চীনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনায় মুখরিত সারাবিশ্ব।
তবে লিও জিয়াবোকে নিয়ে একগুঁয়ে চীন তার অবস্থানে অনড় থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এইসব কটাক্ষকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। এক বিবৃতিতে দেশটি জানিয়েছে, ‘এটা একান্তই চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং সেদেশের নাগরিকদের নিয়ে চীনের করণীয়ের ব্যাপারে অনুপযুক্ত মন্তব্য করার অধিকার কেউই রাখেনা।’
জানা গেছে, চীনের উত্তর পূর্বাঞ্চলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছিল লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত জিয়াবোর। ২০০৯ সালে নাশকতামূলক তৎপরতার অভিযোগে ১১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জিয়াবোকে গত মাসে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে মানবাধিকার কর্মী হয়ে ওঠা জিয়াবোকে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধী গণ্য করে চীন।
লেখক ও অধ্যাপক জিয়াবো ২০০৯ সালে চীনের গণতান্ত্রিক সংস্কার সংশ্লিষ্ট চার্টার এইট পিটিশনের সহলেখক। এই অপরাধেই তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ১১ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর ঠিক পরের বছর ২০১০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
বেইজিংয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিয়াবো এর আগেও সাজাভোগ করেছেন। ১৯৮৯ সালের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের মুক্তি চেয়ে তিন বছর ‘লেবার ক্যাম্পে’ কাটিয়েছেন তিনি।