হোয়াইট হাউসের পররাষ্ট্র বিষয়ক এক কর্মকর্তা লিবিয়াকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়িত হতো তাহলে লিবিয়া তিন টুকরো হয়ে যেত। সেবাস্টিয়ান গোর্কা নামের ওই মার্কিন কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ এক ইউরোপীয় কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছিলেন। খবর বিবিসি’র।
সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে তিনি ওই পরিকল্পনা একটি রুমালে মানচিত্র এঁকে তা ওই কূটনীতিককে অবহিত করেছিলেন। সেবাস্টিয়ান গোর্কা নামের ওই ব্যক্তি ট্রাম্পের একজন উপ-সহকারী। হাঙ্গেরির ডানপন্থী গ্রুপগুলোর সঙ্গে এক সময় তার দহরম-মহরম সম্পর্কের কারণে তাকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
তার এই পরিকল্পনার বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের দিনে উপস্থাপন করা হয়েছিল বলে অপর এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ওই কূটনীতিক লিবিয়ার বিষয়ে এ সমাধানকে সবচেয়ে ‘গর্হিত পথ’ হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। গোর্কা এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের লিবিয়ার বিশেষ দূত পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদৌ এ ধরনের কোন পদ তৈরি করবেন কিনা বা করে থাকলে তাকে সেখানে নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। লিবিয়ায় ন্যাটো বাহিনীর নেতৃত্বে ২০১১ সালে মুয়ান্মার গাদ্দাফি সরকারের পতন হলেও সেখানকার অস্থিতিশীলতা দূর হয়নি। শাসন ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মধ্যে এখনো সংকট বিরাজমান। ওবামার সময়ে তখন সেখানকার জাতীয় সরকারের প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইউরোপীয় কয়েকটি মিত্র দেশ আশঙ্কা করছে যে , ওবামার সেই জোরালো সমর্থন বর্তমানে প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। এ সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন ফায়েজ আল-সারাজ এবং ত্রিপোলি থেকেই সরকার পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে কট্টর ইসলামপন্থীদের ঘোর বিরোধী গোর্কা। তার দৃষ্টিতে মুসলিম ব্রাদারহুড হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে। আর এ কারণেই তিনি লিবিয়াকে টুকরো টুকরো করতে চান। গোর্কা বিশ্বাস করেন যে কট্টর ইসলামি উগ্রবাদকে মোকাবিলা করাই হচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির মূল বিষয়। তবে তার আর একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি ট্রাম্পের প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননের ঘনিষ্ঠজন। যদিও গত সপ্তাহে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপদেষ্টার পদ হারান তিনি।