লিবিয়ায় সেনা পাঠানো শুরু করেছে তুরস্ক। সংসদের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর সেনা পাঠানো শুরুর কথা নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। লিবিয়া সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে দেশটিতে নিজেদের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। খবর: আলজাজিরা।
লিবিয়া সরকার দেশটির পূর্বাঞ্চলভিত্তিক জেনারেল খলিফা হাফতারের বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই লড়াইয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত লিবিয়া সরকারকে সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক। গত মাসে লিবিয়া সরকার তুরস্কের কাছে সেনা সহায়তা চায়। এর প্রেক্ষিতে চলতি মাসে এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি একটি বিল উত্থাপন করে। বিলটি পাশের পর রবিবার লিবিয়ায় তুর্কি সেনা মোতায়েন শুরুর কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান এরদোয়ান।
এরদোয়ান জানান, লিবিয়ায় একটি অপারেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেখানে একজন তুর্কি লেফটেন্যান্ট জেনারেলের অধীনে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। লিবিয়ায় নিয়মিত যোদ্ধা বাহিনী পাঠানো হবে না জানিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যুদ্ধ নয়, বরং সেখানকার বৈধ সরকারকে সহায়তা করা।’
সম্প্রতি লিবিয়া সরকারের সঙ্গে তুরস্কের একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় সেখানে তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। লিবিয়া সরকার জেনারেল হাফতারের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বিদ্রোহী বাহিনীটি ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। শনিবার ত্রিপোলির একটি সামরিক একাডেমিতে হামলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়। ওই হামলার পেছনে খলিফা হাফতারের বাহিনী জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।