ডিএমপি নিউজ: রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া হতে অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম-মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন। তার সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার বলে জানা যায়।
১৮ নভেম্বর’১৭ বিকাল ০৪.৩৫ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একটি টিম রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া বাদালদি রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
কাউন্টার টেরোরিজম সূত্রে জানা যায়, আসামী মোজাম্মেল হুসাইন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লা বাংলা টিম) ইনটেলিজেন্স উইং এবং মিডিয়া উইং এর প্রধান। এছাড়াও সে ‘জঙ্গীর সাথে কথোপকথন’ ফেসবুক পেজ, বালাকট মিডিয়া, আল হিকমা মিডিয়া, অনুসন্ধিৎসু মিডিয়ার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ।
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত একুশে বই মেলায় কতিপয় সন্ত্রাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আমেরিকা প্রবাসী মুক্তমনা লেখক ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার উপর হামলা চালায়। উভয়কে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিজিৎ রায় মৃত্যুবরণ করেন। অভিজিতের স্ত্রী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোজাম্মেল হুসাইন তার সংগঠনের অন্যান্য সহযোগিদের সহযোগিতায় অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
তারা বই মেলার স্থান রেকি করে অভিজিৎ রায় কে হত্যার উদ্দেশ্যে টার্গেট করে। ২৬ ফেব্রুযারী ২০১৫ তাদের রেকির উপর ভিত্তি করে সংগঠনের অপস্ শাখার লোকজন এ হত্যাকান্ড ঘটায়। সে সময় আসামী মোজাম্মেল হুসাইনসহ সহযোগী অন্যান্যরা অপস্ শাখার লোকদের চারপাশে গার্ড হিসাবে অবস্থান নেয়।
সায়মন আরো জানায়, তাদের সংগঠনের বড় ভাই (জিয়া) এর নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যা কান্ডে তারা অংশ গ্রহন করেছিল। অভিজিৎ রায় এর হত্যাকারীদের ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত আসামীদের মধ্যে সে অন্যতম। সে জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন হত্যাকান্ডে অংশগ্রহন করেছিল এবং আনসার আল ইসলাম এর সকল হত্যাকান্ডের দায় সে স্বীকার করতো বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।