বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের আজ ১০১তম জন্মবার্ষিকী । সাহিত্যের বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় ছয় দশক তার সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। শুরু থেকেই তার গল্প ও উপন্যাসে সকল ধরনের অন্যায়, অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে গণমানুষের কথামালা এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা উঠে আসে।
শওকত ওসমান ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি অবিভক্ত বাংলার পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান। তার পিতার নাম শেখ মোহাম্মদ এহিয়া। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। তার প্রকাশিত উপন্যাস ১৬টি, গল্পগ্রন্থ ৩টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ৩টি, নাটক ৪টি, রম্য ১টি, স্মৃতিকথা ১৫টি, অনুবাদ ১১টি, বিভিন্ন বিষয়ে সমগ্র ৭টি এবং অন্যান্য বিষয়ে ৯টি গ্রন্থ রয়েছে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জান্তার অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি লিখেন ‘জননী’ এবং ‘জাহান্নাম থেকে বিদায়’ দুটি উপন্যাস। তিনি জীবিত থাকাকালেই ‘জননী’ উপন্যাস বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইন ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করে।
সাহিত্যে অবদানের জন্য শওকত ওসমান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, স্বাধীনতা পদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কারসহ বেশকিছু পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালের ১৪ই মে খ্যাতিমান এই কথা সাহিত্যিক ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
দিবসটি উপলক্ষে শওকত ওসমান স্মৃতি সংসদ ও কথা সাহিত্যিকের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিকাল পাঁচটায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে ‘শতাব্দী পেরিয়ে শওকত ওসমান’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।