মাত্র ২৪ বছর বয়স। আর এই বয়সে অতলান্ত বিলাস-বৈভব ছেড়ে সন্ন্যাসীর জীবন বেছে নিলেন ভারতের মোক্ষেশ শেঠ।
১০০ কোটি টাকারও বেশি পারিবারিক ব্যবসার যাবতীয় স্বত্ব ও মোহ ছেড়েছুড়ে শনিবারই গাঁধীনগরে আনুষ্ঠানিক ভাবে সন্ন্যাস জীবনে ঢুকে পড়লেন মোক্ষেশ। হয়ে গেলেন এক জন জৈন সাধু।
জৈন পরিবারের সন্তান মোক্ষেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার পর গত দু’বছর ধরে পারিবারিক ব্যবসার দেখভাল করছিলেন। কিন্তু সেই ব্যবসায় তাঁর মন টিঁকছিল না কিছুতেই।
মোক্ষেশ শেঠের পারিবারিক ব্যবসা জেকে কর্পোরেশনের হীরা, ধাতব পণ্য এবং চিনির ব্যবসা রয়েছে।
শুক্রবার সকালে গান্ধীনগর-আহমেদাবাদ রোডে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জৈন ধর্মে দীক্ষা নেন তিনি। মুখেশ শেঠ বলেন, তিনি এখন থেকে হিসাব বিজ্ঞানের বই-পত্র রেখে একজন নম্র শিক্ষার্থী হিসেবে জৈন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবেন।
তিনি আরও বলেন, যখন আমার বয়স ১৫ বছর তখনই আমি প্রথম ভেবেছিলাম যে, আমি জৈন সন্ন্যাসী হতে চেয়েছি। আমি মানসিকভাবে শান্তি চাই যা এই বস্তুজগত আমাকে দিতে পারবে না।
তিনি আরও জানান, তিনি শুধু নিজের শান্তি চান না বরং তিনি সবার শান্তি চান। মোক্ষেশ শেঠের পরিবারের আদি নিবাস ছিল গুজরাটের দেসাতে। পরে তারা মুম্বাইতে থাকতে শুরু করেন এবং দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এখানেই থাকছেন। তার বাবা সন্দীপ এবং কাকা গিরিস শেঠ যৌথ পরিবারেই থাকেন।
মোক্ষেশ তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। তিনি ওয়াকেস্বরের মানব মন্দীর স্কুলে দশম শ্রেণিতে ৯৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রায় ৮৫ ভাগ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
মোক্ষেশের কাকা গিরিস শেঠ বলেন, মোক্ষেশ আট বছর আগে থেকেই জৈন সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিল। তখন আমরা তাকে বুঝিয়েছিলাম যে, আগে পড়াশুনা শেষ করো এবং পৃথিবী সম্পর্কে জানো।
আমাদের পরিবারের দুইশো বছরের ইতিহাসে মোক্ষেশই প্রথম পুরুষ হিসেবে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করছে। তবে এর আগে এই পরিবারের আরও পাঁচ নারী জৈন সাধ্বী হয়েছেন।