ডিএমপি নিউজঃ অনেক কারণেই কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হতে পারে। যেমন-অনিয়মিত খাদ্যভ্যাস, অপর্যাপ্ত ব্যায়াম, আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, প্রয়োজনের তুলনায় পানি কম খাওয়া ইত্যাদি। এটিকে রোগ হিসেবে ধরা নাহলেও এটি শরীরে অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কাজেই শরীরকে সুস্থ রাখতে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য মুক্ত রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে বিশেষভাবে উপকারি। যেমন-
পানি: সাধারণত শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাবে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে যথেষ্ঠ পরিমাণে বিশুদ্ধপানি পান করতে হবে। এ জন্য একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তিকে দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা জরুরী।
কমলা: কমলাতে যথেষ্ট ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমাধানে সাহায্য করে। এক গবেষনায় দেখা গেছে কমলায় থাকা নারিনজেনিন নামের একটি উপাদান কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুর করতে সহায়ক।
লাল চাল: লাল চাল অধিক ফাইযুক্ত খাবার। প্রতিকাপ লাল চালে থাকে ৩.৫ গ্রাম ফাইবার। এ ছাড়াও লাল চাল সাধারণ চালের তুলনায় অনেক বেশী পুষ্টিকর। কাজেই কোষ্ঠ্যকাঠিন্য মুক্ত থাকতে লাল চাল খাওয়া যেতে পারে।
পালং শাক: এক কাপ সেদ্ধ পালন শাকে চার গ্রাম ফাইবার থাকে। আরো থাকে ১৫০ মিলিগ্রামের বেশী ম্যাগনেসিয়াম, যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
ইসুবগুলের ভুসি: এটা সর্বজন স্বীকৃত ইসুবগুলের ভুসি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুর করতে সাহায্য করে। অনেকেই ইসুবগুলের ভুসি অনেকক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখেন তার পরে খান, এতে উপকার হয় না। ইসুবগুলের ভুসি পানিতে মেশানো সাথে সাথেই খেয়ে নিতে হবে। তবেই এর উপকার পাওয়া যাবে।
টকদই: সাধারণ টকদইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক গুনাগুন, যা পেটের হজম সমস্যার দুর করতে সাহায্য করে। কাজেই নিয়মিত টকদই খেলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।