গবেষণায় দেখা গেছে দুপুরে বেশি খেলে রাতে কম খাওয়া ভালো। এতে শরীর ঝরঝরে থাকার পাশাপাশি ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। দিনে বেশি বা ভারী খাওয়ার পর রাতে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত সেই বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
ক্যালরি বাদ: ঘুমানোর আগে কার্বোহাইড্রেইট-যুক্ত খাবার খেলে হজম করা কঠিন। তাই রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেইট-যুক্ত খাবার না খাওয়াই নিরাপদ। বরং প্রোটিন এবং আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
মাংস এড়িয়ে চলুন: নিরামিষ খাবারে সবসময় ক্যালরি কম। পেটের চাহিদা কমাতে সবজি ভেজে নিন অথবা স্বাস্থ্যকর সুপ তৈরি করুন, এটা বেশ কাজের।
রাতে ভারী খাবার নয়: যারা ওজন সম্পর্কে সচেতন তারা রাতে ভারী খাবার খেতে ভয় পান। পরের দিন সকালে ঘুম ভেঙে কেমন অনুভব করবেন তা নির্ভর করে আগের দিনের খাবারের উপর।
যেহেতু রাতে ভারী খাবার খাওয়া ঠিক নয় তাই দিনে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করাই ভালো। দুপুরে খাবার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত হজমে অনেক সময় পাওয়া যায়। তাই দুপুরে ভারী ও রাতে হালকা খাবার খাওয়াই ভালো।
সালাদ খাওয়া: বিভিন্ন রকমের সস ব্যবহার করে খুব সহজেই হালকা ও মজাদার সালাদ তৈরি করা যায়। গাজর, ব্রকলি, পেঁয়াজপাতা, লেটুস, ক্যাপ্সিকাম এবং কিছু বাদামসহ স্বাস্থ্যকর সালাদ বানাতে পারেন। নিজের পছন্দ ও স্বাদ মতো এই ধরনের সালাদ তৈরি করা বেশি কঠিন কিছু না।
নোনতা খাবার বাদ: কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বাদ দিতে না পারলে নিজের মতো করে লবণ ছাড়া স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিন। সঙ্গে পছন্দ মতো সবজি মেশান। স্বাদ বাড়াতে সবজির সঙ্গে পছন্দ মতো ধনে বা পুদিনা পাতা দিতে পারেন। এত লবণের ঘাটতি অনুভব করবেন না।
বাড়তি খাবার: খাওয়ার পরে অতিরিক্ত খাবার রেফ্রিজারেটিরে সংরক্ষণ না করাই ভালো। অতিরিক্ত খাবার দৃষ্টি সীমার বাইরে রাখুন। এটি আপনার খাবারের পরিমাণ পরিমিত রাখবে এবং রাতে ভারী খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখবে।
হাঁটতে যান: দুপুরে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেলে একটু হাঁটাচলা করুন। এতে স্বস্তি অনুভব করবেন।
নিজেকে দোষ দেবেন না: অপরাধবোধ কখনও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে সাহায্য করে না। তাছাড়া এই ধরনের আচরণ অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই নিজের উপর রাগ করে দুপুরে বেশি খেলেও রাতে খাবার খাওয়া একেবারেই বাদ দেওয়া উচিত নয়।