আজ রবিবার ‘শর্ট মেসেজ সার্ভিস বা এসএমএস-এর ২৫ বছর পূর্তি। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হয়েছিল। শর্ট মেসেজ সার্ভিস বা এস এম এস তথ্য আদান প্রদানের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এতে মোবাইলের কি প্যাডের মাধ্যমে শব্দ বা বাক্য লিখে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে অন্য কোন মোবাইলে আন্ত অপারেটর বা আন্ত দেশীয় বার্তা পাঠানো হয়।
সিইউ এলইউ
এসএমএস-এর ভাষার একটি উদাহরণ। সিইউ হচ্ছে ‘আই উইল সি ইউ লেটার’ বা ‘আমি তোমার সঙ্গে পরে দেখা করব’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। আর এলইউ মানে হচ্ছে ‘লাভ ইউ। এই ২৫ বছরে এমন অনেক সংক্ষিপ্ত বার্তা আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব বার্তা সমগ্রের ওয়েবসাইটও আছে।
মোবাইল ফোন নয়, কম্পিউটার
এখন সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই এসএমএস পাঠানো হয়। তবে ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম ক্ষুদে বার্তাটি কম্পিউটার থেকে পাঠানো হয়েছিল। ব্রিটিশ টেলিকম কোম্পানি ভোডাফোন এর টেকনিশিয়ানরা পরীক্ষামূলকভাবে ‘ম্যারি ক্রিসমাস’ বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন।
উদ্ভাবক
ফ্রিডহেল্ম হিলেব্রান্ড। তিনি জার্মান ডাক বিভাগে কাজ করতেন। ফরাসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ কোম্পানি পিটিটিতে কর্মরত ব্যার্নহার্ড গিলেব্যার্ট-এর সঙ্গে মিলে ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম এসএমএস-এর ধারণা দিয়েছিলেন।
সর্বোচ্চ সীমা
এসএমএস-এর মডেল ছিল পোস্টকার্ড আর টেলেক্স বার্তা। টেকনিশিয়ানরা গবেষণা করে দেখতে পেয়েছিলেন যে, এ ধরনের যোগাযোগে ১৬০ বা তার কম বর্ণ ব্যবহৃত হয়। তাই এসএমএস-এর সর্বোচ্চ সীমা ঠিক করা হয়েছিল ১৬০ বর্ণ।
লাভের হিসেব
নব্বইয়ের দশকে মোবাইল ফোনের প্রসার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম কোম্পানিগুলো এসএমএস সেবার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হতে থাকে। ১৯৯৬ সালে জার্মানিতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। ২০১২ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ৫৯ বিলিয়ন। জার্মানিতে এসএমএস পাঠানোর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৩৯ ইউরো সেন্ট।
মোবাইল অ্যাপের আবির্ভাব
জার্মানিতে এসএমএস পাঠানোর প্রক্রিয়াটি ‘সিমসেন’ নামে পরিচিত। ডিকশনারিতেও এই শব্দটি ঢোকানো হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, জুম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো মেসেঞ্জার অ্যাপ চালু হয়। সেগুলো দিয়ে বিনামূল্যে এসএমএস পাঠানো যায়।
এখনও জনপ্রিয়
মেসেঞ্জার অ্যাপ আসার পরও এখনও জার্মানিতে এসএমএস জনপ্রিয়। ২০১৬ সালে প্রায় ১২.৭ বিলিয়ন এসএমএস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ কার্যালয়।