- ১৯৭১ খ্রিঃ সাব-ইন্সপেক্টর শিরু মিয়া মোহাম্মদপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।
- স্ত্রী আনোয়ারা ও ছেলে কামালসহ তিনি গোপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকান্ড সমর্থন করে আসছিলেন এবং অসহযোগ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার বাসায় পোস্টার লেখার পাশাপাশি গোপনে সভা বসত।
- ২৫ মার্চ রাতে তিনি পাকবাহিনীর গতিরোধকল্পে মালিবাগ মোড়ে ব্যারিকেড দেয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তার এ সকল কর্মকান্ড পাকবাহিনী জানার পর তাকে খুঁজতে শুরু করেন। ২৭ মার্চ তিনি সপরিবারে কুমিল্লা চলে যান এবং ছেলে কামালসহ সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তার মূল কাজ ছিল কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন দেয়া, ভারত থেকে অস্ত্র আনা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেয়া।
- ১৯৭১ খ্রিঃ ১৭ই অক্টোবর ভারতে গমনের সময়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে তিনি ছেলে কামালসহ পাকিস্তানিদের হাতে আটক হন। প্রথমে তাদেরকে টর্চার সেলে এবং পরে কুমিল্লা জেলে নেয়া হয়।
- ২১ নভেম্বর শিরু মিয়া এবং তার ছেলে কামালকে পাকবাহিনী এবং রাজাকাররা তিতাস নদীর পাড়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে।
- তাদের লাশ আর পাওয়া যায়নি।
- এই শহীদের স্মরণে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এ শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তন তৈরি করা হয়েছে।