সেখানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকনসহ ১৩টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড, সিডাব, চলচ্চিত্র ফাইট ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র স্থিরচিত্রগ্রাহক সমিতি, চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপক সমিতি, চলচ্চিত্র উৎপাদন সহকারী ব্যবস্থাপক সমিতি, চলচ্চিত্র অঙ্গসজ্জা সমিতি, চলচ্চিত্র রূপসজ্জাকর সমিতি, চলচ্চিত্র লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দদের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘আজ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির স্টাডিরুমে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গতকাল রোববার চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির স্টাডিরুমে হাজির হয়ে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নিয়ে দেয়া অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
এই বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে শাকিবকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো। তবে সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অচিরেই একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করে চলচ্চিত্র শিল্পের সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে সেই নীতিমালা মেনেই সকলকে কাজ করতে হবে। যদি কেউ নীতিমালা ভঙ্গ করেন তবে অবশ্যই তিনি শাস্তির আওতায় আসবেন।’
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা আলমগীর বলেন, ‘শাকিব খান ইস্যু নিয়ে সবগুলো সমিতি মিলে মিটিং করেছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের। শাকিব আমাদেরই ছেলে, তার উপর অভিমান জন্মাতেই পারে। আর শাকিবের উচিত নিজেকে মূল্যায়ণ করা। নিজেকে মূল্যায়ণ করতে পারলেই নিজের চারপাশ সুন্দর থাকে। ওকে আরও বিনয়ী হতে হবে।’
পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, ‘আসলে শাকিব ক্ষমা চাওয়ার পরপরই ওর উপর সকল অভিমান পানি হয়ে গেছে আমাদের। আজ কেবল সবাই মিলে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ওকে আরও সাবধান থাকতে হবে। ওর কাছ থেকে দেখে শিখবে নতুন প্রজন্মের তারকারা।’