মঙ্গলবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের একজন দূত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও কর্মক্ষমতা উন্নত করা বিষয়ক এক উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ গ্রহণ করেন ।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন মানের বহুমুখী অংশীজনদের সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।‘জাতিসংঘ প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য যেখানে নির্দেশক নীতিমালা প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেখানে যেসব দেশ (ট্রুপস কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রিজ) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সৈন্য প্রেরণ করছে তাদেরই উচিত শান্তিরক্ষীদের উপযুক্তরূপে গড়ে তোলা। এভাবে একটি ব্যাপকভিত্তিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা গড়তে জাতিসংঘ সচিবালয় এবং সদস্য রাষ্ট্র এবং সেনা ও পুলিশ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী সহযোগিতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মোমেন।
বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ একটি জটিল প্রচেষ্টাই রয়ে গেছে। কারণ শান্তিরক্ষীরা একটি জটিল সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বিদেশি দেশে এসে কাজ করেন।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সাফল্যের জন্য পার্টনারশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এই মন্তব্য করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘এটি প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রেও একইভাবে সত্য। আমরা বিশ্বাস করি যে, প্রশিক্ষণ কেবল শান্তিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নয়, এটি একইসঙ্গে একটি যৌথ দায়িত্ব।’।