সময়টা সকাল ৮টা ১৫ মিনিট, ঘুম থেকে সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছিল বছর তোরোর ছোট মেয়েটি৷ হঠাৎ করে বিকট আওয়াজ৷ নিমেষে চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল৷ মেয়েটি অনুভব করেছিল হওয়াতে উড়ে গিয়ে কোথাও একটা পড়েছিল সে৷ তারপর আর কিছু মনে নেই৷ যখন চোখ খুলল তখন চারপাশে পরিচিতদের জ্বলন্ত দেহ৷ তাঁর পরিচিত শহর তখন মৃত্যুপুরী৷
৬২ বছরেরে সেই দিনটা এখনও তাঁর চোখের রেটিনাতে খোদাই হয়ে রয়েছে৷ এই ভাবেই নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেন হিরোশিমা পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের জীবন্ত মহিলা সেটসুকো থুরলো৷
২০১৭-এর নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাচ্ছে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার রোধে সমগ্র বিশ্ব জুরে প্রচার করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন International Campaign to Abolish Nuclear Weapons (ICAN)৷ জানা গিয়েছে তাদের প্রতিনিধি হয়ে নোবেল শান্তি পুরষ্কারটি গ্রহণ করবেন জাপানের মৃত্যু়ঞ্জয়ী সেটসুকো থুরলো৷
১৯৪৫-এর ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল আমেরিকা। মৃত্যু হয়েছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার জনের৷ ঠিক তিনদিন পরে আবার নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল আমেরিকা৷ তাতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার৷