মিরপুরে একমাত্র টেস্টের আজকের দ্বিতীয় দিনে ভাল শুরু করেছিল টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেটে ২২৮ রানে গতকাল দিন শেষ করেছিল। আজ সকালে সেখান থেকে বেশিদুর এগোতে দেয়নি নাইমরা। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে তারা।
বাংলাদেশও তাদের প্রথম ইনিংস শুরু করে খেলার দ্বিতীয় দিনে। শান্ত ও মুমিনুলের ফিফটিতে দিনশেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪০ রান। ফলে প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে আছে ২৫ রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাইফ ও তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান ডানহাতি সাইফ। পরের ওভারে তামিমের ব্যাট থেকেও আসে দুই চার। মাত্র ৩ ওভারেই ১৮ রান করে ফেলে বাংলাদেশ।
কিন্তু চতুর্থ ওভারের শেষ বলে হালকা বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট এগিয়ে দেয়ার ভুল করে বসেন সাইফ। ফলে তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার হাতে। সমাপ্তি ঘটে সাইফের ১২ বলে ৮ রানের ইনিংসের।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবাল। দুজন মিলে ৪ ওভার খেলে যোগ করেন ৭ রান। পরে দ্বিতীয় সেশনেও দারুণ ব্যাট করেন এ দুজন। পাল্লা দিয়েই নিজেদের রান বাড়াচ্ছিলেন শান্ত ও তামিম। মনে হচ্ছিল, দুজনই তুলে নেবেন ফিফটি।
কিন্তু দলীয় ৯৬ রানের মাথায় অফস্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। সমাপ্তি ঘটে তার ৮৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসের, একইসঙ্গে ভাঙে শান্তর সঙ্গে ১৫৯ বলে ৭৮ রানের জুটি।
তামিম না পারলেও বিরতির এক ওভার আগে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করতে খেলেন ১০৮টি বল, হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি। পরে বিরতির ঠিক আগের ওভারে মারেন আরও একটি বাউন্ডারি।
তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে শান্ত গড়েন ৭৬ রানের জুটি। কিন্তু ৫০তম ওভারে এসে বোকার মতো আউট হয়ে বসেন শান্ত। অভিষিক্ত তিশুমার বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গড়া শান্তর ৭১ রানের ইনিংসটি থামে তাতেই।
তবে এরপর মুমিনুল আর মুশফিকুর রহীম দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি। ২১.২ ওভারের জুটিতে তারা দ্বিতীয় দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন আছেন ৬৮ রানে। মুমিনুল আছেন সেঞ্চুরির পথে। ১২০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে টাইগার অধিনায়ক অপরাজিত ৭৯ রানে। ৩২ রান নিয়ে তার সঙ্গে তৃতীয় দিনে খেলতে নামবেন মুশফিক।